ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ফের চর্চায় ত্রিপুরার বিজেপি (Tripura BJP)। সদলবলে কলকাতায় হাজির সুদীপ রায় বর্মন (Sudip Roy Barman) । তৃণমূল নেতৃত্বের (TMC) সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। তবে কবে সেই বৈঠক হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
বঙ্গজয়ের পরই ত্রিপুরার দখলের উদ্দেশ্যে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। সেই লড়াইয়ের সেনাপতির দায়িত্ব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC leader Mamata Banerjee)। তার পর থেকেই ত্রিপুরার বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। দলীয় কর্মীরা অনেকেই গেরুয়া শিবির ছেড়েছে বলে খবর সামনে এসেছে। এবার কি তবে ‘তুরুপের তাস’ সুদীপ রায় বর্মনের পালা? জোরালো হচ্ছে জল্পনা।
[আরও পড়ুন: ৩ হাজারে মিলছে জল, ভাতের দাম সাড়ে ৭ হাজার টাকা, চরম দুর্ভোগ কাবুল বিমানবন্দরে]
রাজনৈতিক মহলের মতে, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের (Biplab Deb) বিরুদ্ধে একাধিকবার তোপ দেগেছেন সুদীপ রায় বর্মন। পরে অবশ্য ফেসবুকে পোস্ট করে বিজেপির প্রতিই আস্থা প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পরই সুদীপ রায় বর্মনের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা বেড়েছে। এদিকে আরেক বিধায়ক জিতিন সরকার দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতায় রয়েছেন। তিনি তো তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন বলে খবর। সেই চিঠি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে। সুদীপবাবুর সঙ্গে ত্রিপুরা বিজেপির আরও এক বিধায়ক কলকাতায় এসেছেন বলে খবর। আসার আগে অবশ্য তাঁরা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন বলে খবর। সবমিলিয়ে ফের সুদীপ রায় বর্মনের দলবদলের জল্পনা বেড়েছে। তবে তৃণমূলের নেতৃত্বের সঙ্গে কবে তাঁদের বৈঠক, তা এখনই ঠিক হয়নি।
[আরও পড়ুন: ছিঃ! খাবারের লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে কুকুরকে ‘ধর্ষণ’, খাস কলকাতায় ধৃত প্রৌঢ়]
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “ত্রিপুরা বিজেপির অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলেই ত্রিপুরার বিজেপি সরকার ফেলে দিতে পারেন। কিন্তু সেটা তিনি চান না। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটে জিতে সরকার গড়তে চায় তৃণমূল।”