সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস ঘুরলেই ত্রিপুরায় (Tripura) বিধানসভার উপনির্বাচন। তার আগে উত্তর পূর্বের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, নির্বাচনী বিধি জারি হয়ে যাওয়ার পরও সরকারি গাড়ি নিয়ে জেলা সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এনিয়ে সরব হয় তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনে (Election Commission) অভিযোগও দায়ের করে তারা। তার পরই দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবকে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।
আগামী ২৩ জুন ত্রিপুরার ৪ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। ইতিমধ্যে সে রাজ্যে আদর্শ নির্বাচনী বিধি জারি হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠল। ভোটে লড়ছেন সদস্য মুখ্যমন্ত্রী পদে বসা ডা. মানিক সাহাও। অভিযোগ, তিনি সরকারি গাড়ি-সুবিধা নিয় ভোটপ্রচারে গিয়েছেন। এর পরই ত্রিপুরার প্রদেশ তৃণমূলের (TMC) তরফে টুইট করা হয়। সেখানে লেখা হয়েছে, “মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন! নির্বাচনবিধি কার্যকর হওয়ার পর সরকারি কাজের বাহানায় সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে যে প্রচারকাজ আপনি চালিয়েছিলেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।”
[আরও পড়ুন: ‘বারবার সতর্ক করেও লাভ হয়নি, আর মুখ খুলবেন না’, দিলীপ ঘোষকে ‘সেন্সর’ নাড্ডার]
এদিকে সোমবারই মুখ্যমন্ত্রীর সচিবকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জানতে চেয়েছে, নির্বাচনবিধি কার্যকর হওয়ার পরও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন বিধিভঙ্গ করেছেন? তিনি কীভাবে সরকারি গাড়ি এবং অন্যান্য সুবিধা ব্যবহার করে ভোটের প্রচার ও প্রশাসনিক কাজে গেলেন, তা সবিস্তারে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। কমিশনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল। টুইটারে তারা লিখেছে, “গণতন্ত্রকে বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।”
প্রসঙ্গত, এবার রাজনৈতিক মহলের নজর থাকবে ত্রিপুরার বিধানসভা আসনগুলির ফলাফলের দিকে। কারণ বছর ঘুরলেই সে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। সেই নির্বাচনের আগে এটা কার্যত সেমি ফাইনাল ধরে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে বিজেপির অন্দরের সমীক্ষা বলছে, এখনই ত্রিপুরার নির্বাচন হলে বিজেপি জিতবে ১২ আসন। এমন পরিস্থিতিতে ক’টা আসনে জয় পাবে গেরুয়া শিবির, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।