shono
Advertisement

সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ভোটের আগে ১২ শতাংশ DA বাড়াল ত্রিপুরা সরকার

এদিকে, বাংলার ধাঁচেই এবার ত্রিপুরায় জোট বাঁধছে কংগ্রেস ও বাম।
Posted: 07:52 PM Dec 27, 2022Updated: 07:52 PM Dec 27, 2022

প্রণব সরকার, আগরতলা: ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীদের বর্ষশেষে দারুণ খবর দিল প্রশাসন। আরও ১২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। মঙ্গলবার কর্মী ও পেনশনভোগীদের জন্য আরও এক কিস্তি ডিএ ও ডিআর ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।

Advertisement

এদিন মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (CM Manik Saha) ও উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মা এই সুখবর দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১২ শতাংশ হারে ডিএ ও ডিআর দেওয়া হবে। চলতি মাসেই অর্থাৎ ডিসেম্বরেই এই বর্ধিত ডিএ কার্যকর করা হবে। আগামী পয়লা জানুয়ারির বেতনের সঙ্গে এই বর্ধিত ডিএ পেয়ে যাবেন কর্মচারীরা। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, এই বর্ধিত হারের ফলে বর্তমান সরকার ২০ শতাংশ হারে ডিএ (DA) মিটিয়ে দিল। যার জেরে কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের তুলনায় ফারাক আরও কমল। মানিক সাহার কথায়, ডিআরডব্লিউ, মান্থলি রেইটেড ওয়ার্কাস, পার্টটাইম ওয়ার্কাস, পার্মান্যান্ট লেবার, ভিলেজ চৌকিদার, হেড প্রিস্ট, অধিকারী, স্কুল মাদার, এডাল্ট লিটারেসি টিচার্স, পার্টটাইম ইনস্ট্রাক্টর কমিউনিটি হেলথ গাইড-সহ কর্মীদের বেতন বা মজুরি প্রায় দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত পয়লা ডিসেম্বর থেকেই তা কার্যকর করা হয়েছে। ডিআরডব্লিউ, পার্টটাইম ওয়ার্কাস কন্টিনজেন্ট কর্মী মিলিয়ে ৮৬০০-র বেশি কর্মী উপকৃত হবেন।

[আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্র বাঁচাতে’ বিমল গুরুং-অজয় এডওয়ার্ডের সঙ্গে একমঞ্চে বিনয় তামাং, দিলেন দলছাড়ার ইঙ্গিত]

সাংবাদিক সম্মেলনে উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মা জানান, ১২ শতাংশ হারে ডিএ মিটিয়ে দেওয়ায় রাজ্য সরকারের বছরে অতিরিক্ত ১৪৪০ কোটি টাকা ও প্রতিমাসে অতিরিক্ত ১২০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। তাছাড়া এর ফলে রাজ্যে ১ লাখ ৯৪ হাজারেরও বেশি কর্মচারী, পেনশনভোগী, পারিবারিক পেনশনভোগী উপকৃত হবেন।

এদিকে, বাংলার ধাঁচেই এবার ত্রিপুরায় (Tripura) জোট বাঁধছে কংগ্রেস ও বাম। আগামী ফেব্রুয়ারিতে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের আগে মঙ্গলবার কংগ্রেস এবং সিপিএমের নেতারা যৌথ বিবৃতি জারি করেছেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী এবং কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি বীরজিত সিনহা। এছাড়া স্বাক্ষর করেছেন বামফ্রন্টের শরিকরাও। বিবৃতিতে রাজ্যে গণতন্ত্র নেই বলে দাবি করা হয়েছে। অভিযোগ, বিরোধী দলের কাজকর্মকে অবরুদ্ধ করা হচ্ছে। যৌথ বিবৃতিতে রাজ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনের আবেদন করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: মেয়েদেরও উচ্চশিক্ষার সুযোগ চাই, দাবি তুলে আফগান ছাত্রীদের সমর্থনে ক্লাস বয়কট ছাত্রদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement