সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমার থেকে ঢল নেমেছে রোহিঙ্গা শরণার্থীর। বাংলাদেশ হয়ে ভারতেও ঘটছে অনুপ্রবেশ। এই প্রেক্ষাপটে চলতি বছর এখনও পর্যন্ত ত্রিপুরা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে ৫২ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী।
এই বিষয়ে ত্রিপুরার শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক মঞ্চক ইপ্পার জানিয়েছেন, “আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে বেশ কিছু মামলা রুজু হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এছাড়া, যারা রোহিঙ্গাদের সাহায্য করছে তাদেরও খোঁজ করা হচ্ছে। উত্তরের রাজ্যগুলির সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। রাজ্যগুলিও আমাদের কাজে সহযোগিতা করছে। আমরা কঠোরভাবে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছি। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের তদন্ত জারি থাকবে।”
ত্রিপুরায় রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। কারণ মানবপাচারকারীরা ত্রিপুরা হয়ে রোহিঙ্গাদের অসমে নিয়ে আসছে। এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, “পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়া যারা ভারতে প্রবেশ করছে তারা এ দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ উদ্বেগজনক। মানবপাচারকারীরা ত্রিপুরায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসছে। সেখান থেকে অসম ও দেশের অন্যান্য প্রান্তে পাচার করে দিচ্ছে। এই নিয়ে আমাদের পুলিশপ্রশাসন ত্রিপুরা সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে।” তিনি আরও বলেন, “কেউ রোহিঙ্গা হোক বা না হোক, কিংবা হিন্দু-মুসলিম যেই হোক না কেন, বিনা পাসপোর্ট বা ভিসায় ভারতে অনুপ্রবেশ করলে তা বেআইনি বলেই গণ্য হবে। আমরা কোনও বেআইনি কার্যকলাপ বরদাস্ত করব না।”
বলে রাখা ভাল, মায়ানমার থেকে কমপক্ষে ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। অভিযোগ, অসম, ত্রিপুরা হয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে ওই শরণার্থীদের একাংশ। দিল্লির শরণার্থী শিবিরেও বাড়ছে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এদের মধ্যে অনেকেই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তাই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।