সন্দীপ চক্রবর্তী, বিশালগড়: ছড়া, লোকসংগীত ও চটুল গানের প্যারডি বেজে চলেছে ত্রিপুরার ভোটপ্রচারে। বাজছে বললে ভুল হবে, রীতিমতো সুপার-ডুপার হিট ‘দয়াল বাবা কলা খাবা’র প্যারডি। মূলত গানের মাধ্যমে প্রচারে জোর দিচ্ছে বিজেপি। মানিক সরকারকে আটকাতে পদ্ম প্রতীকের তরফেই আপাতত ত্রিপুরার গ্রামে-গঞ্জে বাজানো হচ্ছে দয়াল বাবা-র গান।
[ত্রিপুরায় ভোটে জিততে ত্রিপুরেশ্বরীর মন্দিরে মাথা ঠেকাচ্ছে বামেরাও]
বিশালগড়ের প্রবল জ্যামে আটকে থাকার সময়েই কানে বাজল সেই চটুল সুর। এখানের ভাষা অন্য, ‘দুর্নীতির কালো টাকা কোথায় গ্যালা। এবার কইয়া যাও।’ সিপিএমও উত্তর দিচ্ছে। তাদের গানের সুরে, ‘অশান্ত করো না ভাই, দাঙ্গা করো না। ত্রিপুরারে বেইচতে দিমু না।’ বাম দলগুলি গাড়িতে হোর্ডিং লাগিয়ে ঘুরছে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে নিবিড় জনসংযোগের পুরনো কৌশলকেই হাতিয়ার করেছে ‘সর্বহারা’দের দল। মানুষকে নেতারা বোঝাচ্ছেন, বিজেপি বড়লোকদের পার্টি। বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি শক্তিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্য ভাগ করতে চাইছে। মহম্মদ সেলিম প্রচারে সাড়া পাচ্ছেন। গতকালই গিয়েছিলেন ভকসুনায়। মুসলিম ভোট বামেরা অটুট রাখতে পারবে বলে বিশ্বাস তাঁদের।
বিজেপি আবার নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় দফার প্রচার নিয়ে উৎসাহী। বৃহস্পতিবার শান্তিরবাজার ও আগরতলায় দু’টি সভা রয়েছে তাঁর। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী প্রচার করবেন শুক্রবার শেষবেলায়। তৃণমূলের মন্ত্রী শশী পাঁজা, সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়, শতাব্দী রায়ও ব্যস্ত প্রচারে। বক্সারনগর সিট নিয়ে আশা দেখছেন নেতারা। সিপিএম গ্রামের দেওয়াল তুলিতে ভরালেও কম যায়নি বিজেপি। সিপাহিজলা জেলার বিশালগড়ে যুবদের বাইক র্যালি দেখলাম। পশ্চিমবঙ্গ হলে হয়তো মিডিয়া বারবার ছবি দেখাত। এখানে হয় না। গায়ে গেরুয়া গেঞ্জি, মাথায় গেরুয়া ফেট্টি বাঁধা যুবকদের বাইক র্যালি। স্লোগান দিচ্ছে, ‘কইতাছে ভাই কইতাছে, বিজেপি আইতাছে। মা-মাসিরা কইতাছে, বিজেপি আইতাছে।’ আর গান বাজছে, ‘ওরে বন্ধু রে, আর ভাবিস না.. ২৫ বছর ক্ষমতায় সিপিএম দল।’
[ত্রিপুরা ভোটের নাম করে তোলাবাজি, সব্যসাচীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ব্যবসায়ীর]
The post ত্রিপুরায় ‘সরকার রাজ’ শেষ করতে ‘দয়াল বাবা কলা খাবা’ গাইছে গেরুয়া শিবির appeared first on Sangbad Pratidin.