ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ত্রিপুরায় তৃণমূলের (TMC) মুখ করা হোক সদ্য কংগ্রেস থেকে আসা সুস্মিতা দেব (Sushmita Dev)। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এই আবেদন জানাল সে রাজ্যের তৃণমূল নেতৃত্ব। সুস্মিতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরপরই এই আবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে কালীঘাটে, দলীয় কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন ত্রিপুরা (Tripura) তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিং।
সুস্মিতা দেব উত্তর পূর্বাঞ্চলের পরিচিত মুখ। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রেও জনপ্রিয়। কংগ্রেস শিবিরে রাহুল গান্ধী ঘনিষ্ঠ বৃত্তের অন্যতম হিসেবেই নাম রয়েছে তাঁর। এতদিন মহিলা কংগ্রেস সভাপতির পদ সামলেছেন। এ হেন প্রোফাইলের সুস্মিতা দেব তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরপরই অসমে কংগ্রেস (Congress) ছাড়ার হিড়িক লেগেছে।
[আরও পডুন: ভারতের প্রথম মহিলা Chief Justice হতে পারেন বিভি নাগরত্ন, ৯টি নাম সুপারিশ কলেজিয়ামের]
মঙ্গলবার বরাক উপত্যকায় সুস্মিতা দেবের অনুগামী অন্তত ৩৫ জন কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন বলে খবর। পাশের রাজ্যেও ত্রিপুরায় বাড়তি উৎসাহ তৈরি হয়েছে সন্তোষ মোহন দেবের কন্যাকে নিয়ে।
কেন্দ্রের প্রাক্তন ইস্পাতমন্ত্রী সন্তোষ মোহন দেবের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল ত্রিপুরা ও অসমে। শিলচর (Silchar) থেকে পাঁচবার ও পরে ত্রিপুরা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে দু’বারের সাংসদ ছিলেন। কংগ্রেস শিবিরের রাজীব গান্ধী ঘনিষ্ঠ বৃত্তের অন্যতম ভরসার মুখ ছিলেন। ফলে তাঁর কন্যাকে নিয়ে এদিক থেকেও উৎসাহ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই সুস্মিতাকে ত্রিপুরার মুখ করে এগোতে চায় সে রাজ্যের তৃণমূল নেতৃত্ব। কারণ খুব পরিষ্কার। সে রাজ্যে সংগঠন তৈরির পাশাপশি তাকে নেতৃত্ব দিতে একটা গ্রহণযোগ্য পরিচিত মুখ দরকার তৃণমূলের।
[আরও পডুন: বিবাহিত মহিলার সঙ্গে লিভ ইন অবৈধ ও আইনবিরুদ্ধ, মন্তব্য রাজস্থান হাই কোর্টের]
যদিও সুস্মিতাকে ত্রিপুরায় দলের মুখ হিসেবেই গুরুত্ব দেওয়া হবে কি না, তা কালীঘাটের সিলমোহরের অপেক্ষায়। তবে সূত্রের খবর, ত্রিপুরাকে নেতৃত্ব দিতে সুস্মিতাকে চাইছে শীর্ষ নেতৃত্বও। আগামী মাসে সুস্মিতা ত্রিপুরা সফরে যেতে পারেন। থাকতে পারেন দলের শীর্ষ স্তরের একাধিক নেতাও।