সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের জেরে দেশে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। করোনা মহামারীর মধ্যেই সেরকম চাকরিতে কোপ পড়ে ত্রিপুরার ১০ হাজার স্কুল শিক্ষকের। চাকরি খুইয়ে পথে বসেছিলেন তাঁরা। তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার জন্য ত্রিপুরা সরকারকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এবার তাঁদের ফের কাজে ফেরাতে চাইছে বিপ্লব দেবের সরকার। তবে পুরনো পদে নয়, সরকার তাঁদের সাফাইকর্মী, মালি, রাঁদুনি, নাইট গার্ড, পিওনের পদে চাকরি দিতে চাইছে। যা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
লকডাউনের মধ্যেই ত্রিপুরায় ১০ হাজার শিক্ষককে এককালীন ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই এই নির্দেশিকা জারি করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব। যা নিয়ে গোটা দেশে শোরগোল পড়ে যায়। শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ তখন বলেছিলেন, ওই শিক্ষকদের চাকরিতে রাখার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার। তার বেশি কিছু করার ছিল না। প্রসঙ্গত, ২০০৯, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে ত্রিপুরায় স্কুল শিক্ষক নিয়োগ করে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। সেই নিয়োগ ঘিরে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মামলা হয় ত্রিপুরা হাই কোর্টে। পরে মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। প্যানেলই বাতিল করে দেয় শীর্ষ আদালত। ফলে ছাঁটাই হন ১০, ৩২৩ জন শিক্ষক।
[আরও পড়ুন: ৩৪ বছর পর দেশের শিক্ষানীতিতে বড় পরিবর্তন আনল কেন্দ্র]
পরে এঁদের চাকরিতে বহাল রাখতে সরকার ১৩ হাজার শিক্ষাকর্মীর পদ তৈরি করলেও সুপ্রিম কোর্ট তাতে স্থগিতাদেশ দেয়। পরে সেই স্থগিতাদেশ ওঠে। ততদিনে ক্ষমতায় আসে বিজেপি সরকার। কিন্তু ক্ষমতায় এসে সেই নতুন পদের অনুমোদন দেয়নি বিজেপি সরকার। ৩১ মার্চ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের সময়সীমা ছিল। কিন্তু তার মধ্যে কোনও পদক্ষেপ না করায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, আর কোনও আবেদন শোনা হবে না। তবে বিজেপি সরকার কর্মহীন শিক্ষকদের সাফাইকর্মী, মালি, রাঁদুনি, নাইট গার্ড, পিওনের পদে চাকরি দিতে চাইছে। যা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
[আরও পড়ুন: রেলের ভাঁড়ার গড়ের মাঠ! ট্রেনের পর এবার জমি ও ডিপোরও বেসরকারিকরণ]
The post লকডাউনে কর্মহীন ১০ হাজার শিক্ষককে মালি-রাঁধুনির কাজ দিতে চায় ত্রিপুরা সরকার appeared first on Sangbad Pratidin.