সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: কেন্দ্র সরকারের নতুন পরিবহণ আইনের বিরোধিতায় রাজ্যজুড়ে মঙ্গলবার দিনভর আন্দোলনে শামিল হলেন পরিবহণ কর্মীরা। আসানসোলে ‘স্টিয়ারিং ছাড়ো’ আন্দোলনে আসানসোলের (Asansol) গির্জা মোড়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখানো হয়। গাড়ি বন্ধ রেখে তাঁদের দাবি, অবিলম্বে এই আইন প্রত্যাহার করতে হবে। কলকাতা (Kolkata), উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরেও একইভাবে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, মোদির কুশপুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এই ছবি দেখে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন স্বরাষ্ট্র সচিব (Home Secretary)। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের রাস্তা বেরতে পারে।
সংসদে পাশ হওয়া নয়া দণ্ড সংহিতা আইন অনুযায়ী, পথ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে নতুন সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, হিট অ্যান্ড রানের (Hit & Run) ক্ষেত্রে কারওর মৃত্যুর পর যদি গাড়িচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান, তাহলে ৭ থেকে ১০ বছরের সাজা হবে। ৭ লক্ষ টাকা জরিমানাও গুনতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানালেও এই সাজার মুখে পড়বেন গাড়িচালকরা। আন্দোলনকারী চালকদের দাবি, দুর্ঘটনা ঘটলে চালককে ৭ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে। নয়তো ১০ বছরের কারাদণ্ড। এই আইন প্রত্যাহার করতে হবে। নইলে তাঁরা গাড়ি চালাবেন না। অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেসের তরফে দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। নয়া আইন প্রত্যাহার না করলে তাঁরা কাজে ফিরবেন না বলে জানান।
[আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্রসচিব পদে নন্দিনীর নিয়োগকে ‘অবৈধ’ বলছেন শুভেন্দু, ‘ওর গা জ্বলছে’, পালটা কুণালের]
আন্দোলনকারীরা এভাবে বিক্ষোভ দীর্ঘ সময় ধরে চললে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে পণ্য পরিবহণে। ট্রাক থমকে থাকায় খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ঠিকমতো বণ্টন করা সম্ভব হবে না। পচে যেতে পারে খাদ্যসামগ্রী। বিপদ বুঝে তাই মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন বলে খবর।