সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘‘দেখলেন তো আমেরিকার কী হল? ট্রাম্প গিয়েছেন, এবার বিজেপিও (BJP) যাবে।’’ সোমবার সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনই আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গেল জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে (Mehbooba Mufti)। এভাবেই নয়া বিতর্ক উসকে দিলেন পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (PDP)-র এই নেত্রী। পাশাপাশি আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতেও দেখা গেল তাঁকে।
জম্মুতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মেহবুবা। তখনই এমন সব বিষয়ে কথা বলেন তিনি। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার থেকে মার্কিন নির্বাচন – এদিন নানা বিষয়ই উঠে আসে তাঁর কথায়। মঙ্গলবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। এখনও পর্যন্ত এক্সিট পোলের হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। সেই প্রসঙ্গে মেহবুবা বলেন, ‘‘তেজস্বী যাদবকে অভিনন্দন জানাতে চাই। উনি নির্বাচনের আসল সমস্যাগুলি তুলে ধরেছেন।’’
[আরও পড়ুন: ‘সবই বাবা বিশ্বনাথের কৃপা’, বারাণসীতে নতুন প্রকল্প উদ্বোধনের পর ‘ভক্তিমূলক’ মন্তব্য মোদির]
সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে জমি কেনায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে সমস্ত নাগরিককে। সে প্রসঙ্গে মেহবুবা জানান, ‘‘আমাদের সম্পদ নিলামে তোলা হচ্ছে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কথাটা ভাবুন। তাঁদের কী হবে? বিজেপি তো তাঁদের অনেক বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীরকে বেচে দিচ্ছে বিজেপি। বহিরাগতদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।’’
কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়ের বেকারত্ব প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘যুবসমাজের হাতে কাজ নেই। অস্ত্র তুলে নেওয়া ছাড়া তাদের কাছে আর কোনও উপায় নেই। সেজন্য জঙ্গি দলে নিয়োগ বাড়ছে। অথচ ভিন রাজ্য থেকে এসে জম্মু ও কাশ্মীরে চাকরি পেয়ে যাচ্ছে।’’
[আরও পড়ুন: দিওয়ালির বিজ্ঞাপনে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত, ফের নেটদুনিয়ার রোষানলে তানিষ্ক]
গত বছরের আগস্টে মেহবুবা মুফতি-সহ জম্মু ও কাশ্মীরের অন্য দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা ও ওমর আবদুল্লাকে জাতীয় সুরক্ষা আইনে (NSA) আটক করে কেন্দ্র। আটক করা হয় আরও কয়েকজন রাজনীতিবিদকে। এ বছরের গোড়াতে বেশ কয়েকজনকে মুক্তি দেওয়া হলেও মেহবুবাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। তিনি মুক্তি পান ১৩ অক্টোবর। আর তারপর ফের স্বমহিমায় দেখা গেল তাঁকে।