সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার মৃত্যুরহস্য নিয়ে তোলপাড় বি টাউন। তারই মাঝে ধৃত অভিনেতা সিজান খানের পক্ষে সওয়াল তাঁর বোন তথা টেলি অভিনেত্রী ফলক ও সাফাক নাজের। শুধুমাত্র মুসলমান বলে শিজানকে এত হেনস্তা করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ তাঁর।
তুনিশা মৃত্যুরহস্যের জট খুলতে শনিবার ‘শশুরাল সিমার কা’ অভিনেত্রী ফলক নাজকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। এরপর ইনস্টাগ্রামে দীর্ঘ পোস্ট করেন অভিনেত্রী। তিনি লেখেন, “আমাদের নীরবতা কীভাবে দুর্বলতা হিসাবে গ্রাহ্য হল? এটাকেই বোধহয় বলে ঘোর কলিযুগ। কিছু সংবাদমাধ্যম, কিছু মানুষ যা ইচ্ছে তাই সিজানকে নিয়ে বলছেন। আপনার কি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বলছেন? কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বলছেন? কিংবা শুধুমাত্র সিজানের প্রতি ধর্মীয় বিদ্বেষের জন্য বলছেন? কিছু সংবাদমাধ্যম জনপ্রিয়তার লোভে নিচে নেমে গিয়েছে। যাঁরা পাঠক, তাঁরাও সমান দায়ী। দয়া করে বোকা হবে না। তবে এমন কিছু মানুষকে দেখেছি যাঁরা মিথ্যা তথ্যে বোকা হচ্ছেন না। প্রকৃত সত্য জানতে চাইছেন।”
[আরও পড়ুন: জেলেও মিলবে বাড়ির খাবার! আর কী সুবিধা পাচ্ছেন তুনিশার মৃত্যুতে ধৃত সিজান খান?]
এদিকে, তুনিশা শর্মার মৃত্যু প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী পায়েল রোহতগি। আত্মঘাতী অভিনেত্রীর পরিবারের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, “তুনিশা মাত্র ২০ বছর বয়সি ছিল। বছরদুয়েক আগেই এক সাক্ষাৎকারে মানসিক অবসাদের কথা বলেছিলেন। পরিবারের লোকজনের আরও বেশি করে তার দিকে নজর দেওয়া উচিত ছিল। টেলিদুনিয়ায় কাজ করা অত্যন্ত কঠিন। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের শুটিং সেট থেকে বেরনোর সুযোগ মেলে ১২ ঘণ্টা পর। যাঁরা নতুন তাঁদের ক্ষেত্রে প্রায় ১৫ ঘণ্টা সেটে থাকতে হয়। স্বাভাবিকভাবে তাঁদের মানসিক অবস্থা ঠিকঠাক থাকার কথাও নয়।” তুনিশার মৃত্যুর সঙ্গে সিজান কি আদৌ জড়িত, সে বিষয়ে যদিও পায়েল কিছু বলতে নারাজ।
‘আলিবাবা: দাস্তান এ কাবুল’ (Ali Baba: Dastaan-E-Kabul) সিরিয়ালের সেটে গত ২৪ ডিসেম্বর তুনিশার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সেই সিরিয়ালেরই নায়ক সিজান মহম্মদ খান। তুনিশার মৃত্যুর পরই সিজানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হিস্ট্রি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।