মলয় কুণ্ডু: জোড়া নিম্নচাপের সাঁড়াশি আক্রমণ ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে। আবহাওয়া দপ্তর বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে এখনই মিলছে না রেহাই। এমন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই আগামী ৩০ তারিখ রাজ্যের তিন কেন্দ্রে নির্বাচন (WB Bypolls)। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতার হাইপ্রোফাইল ভবানীপুর (Bhabanipur) কেন্দ্রও। দক্ষিণবঙ্গের দুই কেন্দ্র জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জেও ভোট। যা নিয়ে বেড়েছে চিন্তা। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে প্রশাসনকে।
বিপর্যয় হলেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে তৈরি থাকছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও (NDRF)। এমন অবস্থায় বুধবার নবান্নে ভারচুয়াল মাধ্যমে রাজ্যের ১৫ জেলাশাসকের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। বৈঠকে জেলাগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলার যাবতীয় ব্যবস্থা তৈরি রাখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: দ্রুত টিকাকরণের আওতায় রাজ্যের সব কলেজ পড়ুয়া! উদ্যোগ নিচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর]
এবার ভোট নিয়ে সমস্তদিক থেকেই সতর্ক প্রশাসন। নির্বাচনও হবে নতুন ইভিএমে। একুশের ভোটে তাদেরও তৈরি রাখা হয়েছিল। কিন্তু গায়ে একটা আঁচড়ও পড়েনি। একেবারে নতুন। ভবানীপুর উপনির্বাচনে (WB By-Election) একুশের হাইভোল্টেজ ভোটের সেই ‘রিজার্ভ’ ইভিএমকেই কাজে লাগানো হচ্ছে। তাদের এক দফা পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। ‘মক পোল’-ও হয়েছে এক হাজারটি করে। তা আবার খোলা হবে আগামী সপ্তাহে।
২১, ২২ ও ২৩ পরপর তিনদিন টানা পরীক্ষা হয়েছে। তারপর দরকার হলে আবার পরীক্ষা করা হবে। ভবানীপুরের ভবিতব্য যাদের বুকে লেখা হবে, আপাতত তারা স্ট্রং রুমে বন্দি। ভবানীপুরের আট ওয়ার্ডে বুথ সংখ্যা ২৮৭। বুথ পিছু ইভিএমও (EVM) সমসংখ্যক লাগার কথা। রিজার্ভেও বেশ কিছু বাড়তি ইভিএম রাখা থাকবে। সমস্যা হলে, দ্রুত তা মেরামত করা বা পালটে নতুন ইভিএম যাতে বুথে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, তার জন্য আবেদন করে রাখা হয়েছে। এত তৎপরতার সত্ত্বেও ভোটের দিন চোখ রাঙাচ্ছে দুর্যোগ। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কোমর বাঁধছে প্রশাসন।