সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষ্ণ সাগরে (Black Sea) যুদ্ধজাহাজ ভাসিয়ে ইউক্রেনের দিকে এগোতে দেওয়া হবে না রাশিয়াকে (Russia)। এমনটাই জানিয়ে দিল তুরস্ক। আগেই ইউক্রেন (Ukraine) আরজি জানিয়েছিল, যেন বসফরাস ও দার্দানেলিস প্রণালী দিয়ে যেন প্রবেশ করতে না পারে রুশ যুদ্ধজাহাজ। সেই আরজিতে সাড়া দিয়েই নির্দেশিকা জারি করল তুরস্ক।
ইতিমধ্যেই তুরস্ক জানিয়ে দিয়েছে, তারা কোনও ভাবেই রাশিয়াকে কৃষ্ণসাগরের মাধ্য়মে ইউক্রেনে যাওয়ার অনুমতি দেবে না। ১৯৩৬ সালের মন্ট্রেক্স চুক্তি অনুযায়ী বসফরাস ও দার্দানেলিস প্রণালীর কর্তৃত্ব তুরস্কের হাতেই রয়েছে। তারা চাইলেই এই অঞ্চল দিয়ে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এবার সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করেই রাশিয়ার এই অঞ্চল দিয়ে যাতায়াতে লাগাম পরিয়ে দিল। কেননা চুক্তিতে বলা ছিল, যদি যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হয় সেক্ষেত্রে ওই অঞ্চলে সীমাবদ্ধতা আরোপ করতেই পারে তুরস্ক।
[আরও পড়ুন: শুধু ‘মোদি’ময় নয়, বারাণসীর অলি-গলিতে ‘খেলা হবে’ স্লোগান তুলে ছুটছে সাইকেলও]
উল্লেখ্য, কৃষ্ণ সাগরের তীরেই রয়েছে ইউক্রেন। ওই অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজ নিয়ে ঢুকতে না পারায় রাশিয়ার অস্বস্তি যে বাড়ল তাতে সন্দেহ নেই। এমনিতে, রাশিয়া ও ইউক্রেন- দুই দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক ভাল। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে ইউক্রেনের সঙ্গেই তুরস্কের সম্পর্ক যেন বেশি ভাল হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগেই ইউক্রেনকে ড্রোন সরবরাহ করেছিল তুরস্ক। এবার কৃষ্ণসাগর রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজের জন্য বন্ধ করে দিল তারা।
উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমেই ঘনাচ্ছিল যুদ্ধের মেঘ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন পুতিনকে হুঁশিয়ারিও দেন। কিন্তু সব হুঁশিয়ারিকে অগ্রাহ্য করে গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল রুশ সেনা। কিন্তু অভাবনীয় প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে পুতিন বাহিনীকে। এর ফলে অস্বস্তিতে রাশিয়া। এদিকে অনেক টালবাহানার পরে দুই পক্ষই আলোচনায় বসতে রাজি হলেও প্রথম বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টার আলোচনাতেও অধরা থেকে গিয়েছে রফাসূত্র। বুধবারও আলোচনায় বসার কথা দু’দেশের।