কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: ফের পুলিশের (Police) জালে প্রতারক। তবে এবার আর একজন নয়। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের জালে ধরা পড়ল এক মহিলা-সহ ১২ জন। পর্দাফাঁস হয়েছে তিনটি ভুয়ো কল সেন্টারেরও (Call Centre)। এই ঘটনায় বিধাননগর সাইবার ক্রাইমে তিনটি পৃথক মামলা রুজু হয়েছে।
গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বাগুইআটি (Baguiati) থানার পুলিশ প্রফুল্ল কানন এলাকায় হানা দেয়। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখে ১০-১৫জন মিলে একটি কল সেন্টারের নামে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ এক মহিলা-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতেরা হল অঙ্কিত কুমার সিং, সৌরভ দাস এবং প্রীতি সিং। তারা প্রত্যেকেই মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে প্রতারণা করে বলেই অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে ৫টি মোবাইল, ৩টি ডেটা শিট, প্যান কার্ড, ডেবিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: Post Poll Violence: হাই কোর্টের রায়ে অখুশি রাজ্য সরকার, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ভাবনা]
বাগুইআটির প্রফুল্ল কাননের আরেকটি আবাসনে হানা দিয়েও একটি ভুয়ো কলসেন্টারের পর্দাফাঁস করে পুলিশ। এই ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতেরা হল লক্ষজ্যোতি হাজারিকা, জয়দীপ অধিকারী, হিতেশ কুমার সাউ, অনুপ দাস ও গণেশ গুপ্ত। ধৃতদের কাছে ৩০টি মোবাইল, ২টি ল্যাপটপ, প্যান কার্ড, ডেবিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এরাও মোবাইলের টাওয়ার বসানোর নামে প্রতারণা করেছে বলেই অভিযোগ।
তৃতীয় ঘটনাটিও প্রফুল্ল কাননেরই। ওই এলাকায় একটি আবাসনের নিচতলায় অফিস খুলে বসেছিল ওই ভুয়ো কল সেন্টারের কর্মীরা। পুলিশ হানা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতেরা হল ইলিয়াস মিঞা, রাজীব গগৈ, মানস গগৈ, মোস্তাফা কমল তালুকদার। ধৃতদের কাছ থেকে হার্ড ডিস্ক, রাবার স্ট্যাম্প বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই চার ধৃতের বিরুদ্ধেও মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।