সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ কী বিপ্লব, নাকি বিদ্রোহ! ইউরোপের সেরা ১২টি ক্লাব একযোগে উয়েফার বিরুদ্ধে একপ্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করে দিল। নিজেদের মতো করে নতুন ফরম্যাটে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ (Super League) গঠনের কথা ঘোষণা করে দিল এই ক্লাবগুলি। লক্ষ্য আরও বেশি অর্থ রোজগার। আগামী মরশুম থেকে এই ১২টি দল আর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অংশগ্রহণ করবে না।
যে ১২টি দল এই নতুন লিগে যোগ দিচ্ছে তারা হল, রিয়াল মাদ্রিদ (Real Madrid), বার্সেলোনা (Barcelona), অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল, চেলসি, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, আর্সেনাল, টটেনহ্যাম হটস্পার, এসি মিলান, ইন্টার মিলান এবং জুভেন্তাস। প্রত্যেকটি ক্লাবই অত্যন্ত নামী এবং প্রথম সারির। এই ১২টি ক্লাব ইউরোপের সেরা আরও ৩টি ক্লাবকে সুপার কাপের অংশীদার হিসেবে গ্রহণ করবে। অর্থাৎ সুপার কাপের মোট সদস্য হতে চলেছে ১৫। এর বাইরে সেরার সেরা আরও ৫টি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আগামী মরশুম থেকে ২০টি দলের পৃথক একটি লিগের আয়োজন করা হবে। ১৫টি সদস্য ক্লাব প্রতিবছর এই টুর্নামেন্ট খেলবে। তার সঙ্গে পারফরম্যান্সের নিরিখে প্রতিবছর বদল হবে শেষ ৫টি দল। খেলা হবে লিগ ফরম্যাটে। লিগের শেষ নকআউট ফরম্যাটে বেছে নেওয়া হবে সেরা দলকে। তবে এর পাশাপাশি নিজেদের ঘরোয়া লিগে এই দলগুলি খেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ম্যাজিক্যাল মেসির জোড়া গোলে ইতিহাস, বিলবাওকে হারিয়ে কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সা]
ইউরোপিয়ান সুপার লিগের এই পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কার্যত জৌলুসহীন হয়ে যাবে। প্রথম সারির ক্লাবগুলি না খেললে এই মেগা টুর্নামেন্ট দর্শক সংখ্যা এবং টেলিভিশন ভিউয়ারশিপ দুইয়ের নিরিখেই কার্যত তলানিতে ঠেকে যাবে। তাই সুপার লিগের এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছে উয়েফা। এমনকী, যে সমস্ত ক্লাব এবং ফুটবলার এই লিগে খেলবে তাঁদের উয়েফা এবং ফিফার সব প্রতিযোগিতা থেকে নির্বাসিত করা হতে পারে। যার অর্থ এই লিগে অংশগ্রহণ করলে মেসি-রোনাল্ডোরা ফুটবল বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ নাও পেতে পারেন। যদিও, লিগের উদ্যোক্তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা উয়েফা (UEFA) এবং ফিফার (FIFA) সমর্থন আশা করেন। আর সেটা যদি না হয়, তাহলে প্রয়োজনে পৃথক বিশ্বকাপেরও আয়োজন হতে পারে।