সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েক বছরে অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar) মানেই বক্স অফিসে ঝড়। যে ছবিই করুন না কেন অক্ষয়, সবই ২০০ কোটি টাকার ক্লাবে এন্ট্রি নিয়ে নেয়। সদ্য প্রমাণ ‘সূর্যবংশী’। করোনা আবহে এই ছবি তো এখনও ব্যবসা করে চলেছে।কিন্তু অক্ষয়ের কেরিয়ারের শুরুটা মোটেই এরকম ছিল না। একের পর এক ছবি ফ্লপ হওয়ার পরেই তিনি হয়ে ওঠেন বলিউডের খিলাড়ি কুমার। আর অক্ষয়ের বৃহস্পতি তুঙ্গে থাকার কারণ আর কেউ নন, টুইঙ্কল খান্না (Twinkle Khanna)! হ্যাঁ, এমনটাই মনে করেন অক্ষয়। আর তাই তো বিয়ের ২১টা বছর কাটিয়ে, সংসার টিকিয়ে রাখার পুরো ক্রেডিটটা টুইঙ্কলকেই দিতে চান অভিনেতা।
১৭ জানুয়ারি টুইঙ্কল ও অক্ষয়ের বৈবাহিক জীবন পা রাখল ২১ বছরে। সকাল সকালই অক্ষয়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানালেন টুইঙ্কল। এই পোস্টে রসিকতার কায়দায় অক্ষয়ের সঙ্গে মিষ্টি প্রেম তুলে ধরলেন টুইঙ্কল।
বেশ কয়েক বছর আগে একটি টেলিভিশন শোয়ে এসে নিজেদের প্রেম, বিয়ে, সংসার নিয়ে মন খুলে কথা বলেছিলেন অক্ষয় ও টুইঙ্কল খান্না। সেই শোয়েই অক্ষয় বলছিলেন, তাঁর কেরিয়ারের সাফল্যের পিছনে রয়েছেন টুইঙ্কল। অক্ষয়ের কথায়, কেরিয়ারে নানা সময় সিদ্ধান্ত নিতে টুইঙ্কল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। এমনকী, ঠিক কোন সময়ে, কোন ছবি করা উচিত তা নিয়েও নানা সময়ে আমাকে পরামর্শ দিত টুইঙ্কল।
[আরও পড়ুন: Birju Maharaj Death: কত্থক সম্রাট বিরজু মহারাজের প্রয়াণ অপূরণীয় ক্ষতি, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর ]
অন্যদিকে টুইঙ্কল কিন্তু অক্ষয়ের বড়লোক হওয়ার পিছনে নিজেকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন। এই চ্যাট শোয়ে এসে টুইঙ্কল স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন, টাকার হিসেবে অক্ষয় খুব কাঁচা। একেবারেই বোঝে না। ওর ব্যাঙ্ক ব্যালান্স, হিসেব নিকেশ আমিই দেখি। তাই আজকে অক্ষয় কুমার যে কোটিপতি তার পিছনে রয়েছে অক্ষয়ের স্ত্রী, মানে টুইঙ্কল খান্না! স্ত্রীয়ের মুখে একথা শুনে একেবারে হেসে ফেলেছিলেন অক্ষয়। পরে অবশ্য টুইঙ্কলের সব কথা মেনেও নেন তিনি!
১৯৯৯ সালে ‘জুলমি’ আর ‘ইন্টারন্যাশনাল খিলাড়ি’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেন অক্ষয় আর টুইঙ্কল। তবে অভিনয়কে অনেক দিন আগেই টা টা বাই বাই করেছেন অক্ষয় ঘরণী। এখন তিনি জনপ্রিয় লেখক। দুই সন্তানকে নিয়ে সংসার সামলাতেই পছন্দ করেন টুইঙ্কল। রসিকতা করে, অক্ষয়কে টাকা ছাপার মেশিনও বলতে শোনা যায় টুইঙ্কলকে।