সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হলদি নদীতে ট্রলারডুবির (Trawler Capsize) ঘটনায় উদ্ধার আরও ২ মৎস্যজীবীর দেহ। দুর্ঘটনাস্থল থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে তাঁদের দেহগুলি উদ্ধার হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন। এখনও পর্যন্ত একজন মৎস্যজীবী নিখোঁজ। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং এনডিআরএফ।
শনিবার রাতে নন্দীগ্রামের (Nandigram) কোন্দামারি-জালপাইয়ে হলদি নদীতে ট্রলার নোঙর করতে গিয়ে ঘটে যায় দুর্ঘটনাটি। উলটে যায় ট্রলারটি। নদীতে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হয় প্রদীপ মান্না নামে এক মৎস্যজীবীর। তিনি কাঁথির বাসিন্দা ছিলেন। নিখোঁজ হয়ে যান ট্রলারে থাকা আরও ১৩ জন মৎস্যজীবী। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। শুরু হয় উদ্ধার কাজ। ন’জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তাঁদের প্রাণেও বাঁচানো গিয়েছে। বাকিদের খোঁজে উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং এনডিআরএফ তল্লাশি চালাতে থাকে। সোমবার ভোরের দিকে ফের দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে তাঁদের দেহগুলি উদ্ধার হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন। এখনও পর্যন্ত একজন মৎস্যজীবী নিখোঁজ। তাঁর খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ঘুমন্ত যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি, নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী কৃষ্ণনগর]
পেটের টানে মাছ ধরতে গিয়েই ঘটল অঘটন। একের পর এক মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। চোখের জল বাঁধ মানছে না নিহতদের পরিজনদেরও। সংসারের একমাত্র রোজগেরে মানুষদের মৃত্যুর পর কীভাবে দিন কাটবে, সেই প্রশ্নও ভিড় করছে তাঁদের মনে।