গোবিন্দ রায়: ফের আদালতে গড়াল পুুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার মামলা। পুরসভার চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণের দাবিতে ফের কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) দায়ের হল জোড়া মামলা। ঝালদা পুরসভার (Jhalda Municipality) কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু একটি মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর হয়ে মামলা লড়ছেন কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। একই দাবিতে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন ৫ তৃণমূল কাউন্সিলরও। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা।
বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করে কৌস্তভ বাগচি জানান, ”আমি বিপ্লব কয়াল, পূর্ণিমা কান্দুর হয়ে আগেও মামলা করেছি। এবারও ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়েছি। উনি বর্তমানে তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত হয়েছেন। ৩০ তারিখ পর্যন্ত একটা অন্তর্বর্তী নির্দেশ আছে। আমরা কোর্টে বলেছি, এই মুহূর্তে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তাই জেলাশাসককে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নতুন করে নির্বাচন করানো হোক।” এর পর কৌস্তভের আরও বক্তব্য, যদি তৃণমূল মনে করে, তারা একাই ঘর ভাঙাচ্ছে, তাহলে ভুল ভাবছে। কংগ্রেসও ঘর ভাঙাতে পারে। তা তৃণমূল বুঝতেও পারছে না।
[আরও পড়ুন: Kunal Ghosh: ‘রাজ্য, কেন্দ্র দুই সরকারের এজেন্সির বিরুদ্ধেই লড়াই চলছে’, সোশাল মিডিয়া পোস্ট কুণালের]
উল্লেখ্য, ঝালদা পুরসভা নিয়ে আইনি জটিলতা দীর্ঘদিনের। তার মাঝে মাস তিনেক আগে পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়-সহ চার কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে (TMC) যোগ দেন। দলবদলকারীদের মধ্যে ছিলেন নিহত তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন, বিজয় কান্দু, পিন্টু চন্দ্র ও সোমনাথ কর্মকার। এই দলবদলের পর ঝালদা পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় কংগ্রেস। এর পর সেপ্টেম্বরের ১৪ তারিখ পুরসভার উপ পুরপ্রধান পূর্ণিমা কান্দু পদ থেকে ইস্তফা দেন। পদত্যাগপত্রে তিনি নৈতিক কারণের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তার দু মাস পর পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণের দাবিতে হাই কোর্টে জোড়া মামলা দায়ের হল।