সুব্রত বিশ্বাস: আগামিকাল লোকসভা ভোটের ফলাফল। গণতন্ত্রের বড় উৎসব উদযাপনের দিন। আর এই আনন্দে উড়বে দেদার মদের ফোয়ারা। কিন্তু মদ যে নিষিদ্ধ বিহারে। কিন্তু তাতে কী? ট্রেনে কর্তব্যরত রেল কর্মীর সহায়তায় প্রায় দেড়শো বোতল মদ বিহারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সেরাজ্যের এক বাসিন্দা। কিন্তু সোমবার তল্লাশি চালিয়ে সেই ছক ভেস্তে দেয় আরপিএফ। বাজেয়াপ্ত করা হয় মদের বোতলগুলো। গ্রেপ্তার করা দুজনকে।
জানা গিয়েছে, বিকল্প পথের সন্ধানে ট্রেনে কর্তব্যরত রেল কর্মীর সাহায্যে মদ নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বিহারের সমস্তিপুরের বাবুরবানার বাসিন্দা রাহুল কুমার। সোমবার আপ কলকাতা স্টেশন থেকে মিথিলা এক্সপ্রেসে রওনা দেওয়ার আগে বি-২ (এসি) কমরাতে হানা দেন আরপিএফ জওয়ানরা। তল্লাশি চালানোর সময় বেডরোল রাখার জায়গায় পরিপাটি বিছানা অতিরিক্ত উঁচু দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। এর পরই বেডরোল সরাতেই দেখা যায় থরে থরে সাজানো বিলিতি মদের দেড়শোটি বোতল। যার দাম প্রায় ষাট হাজার টাকা। তার পরই আরপিএফ কর্তব্যরত বেডরোল স্টাফ পিক্কু রায়কে গ্রেপ্তার করে।
ওই রেলকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই তাকে জেরা করে জানতে পারা যায় ওই কামরাতেই যাত্রা করছে রাহুল কুমার নামে বিহারের ওই যুবক। তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়। দুজনকেই জিআরপির হাতে তুলে দেয় আরপিএফ। জেরায় জানা গিয়েছে, আগামিকাল ভোটের ফল প্রকাশ থাকায় মদের চাহিদা তুঙ্গে থাকবে। কিন্তু বিহারে মদ নিষিদ্ধ। তাই দশগুন দামেও মদ কিনে আনন্দে মাতবেন অনেকেই। তাই রেলকর্মীর সহযোগিতায় এবার রাজ্য থেকে মদ নিয়ে যাচ্ছিল ওই ব্যক্তি। উল্লেখ্য, এর আগেও এমনই অপরাধ করার জন্য রেলকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা জিআরপি।