অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: জলপাইগুড়ির সেবক রোডে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম ভবনে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই অভিযুক্ত। তবে ফেরার মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায়। ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাঁর খোঁজ পায়নি পুলিশ।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার শিলিগুড়ি থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় এখনও ফেরার। বলে রাখা ভালো, গত শনিবার সেবক রোডের দ্বিতল ভবন ‘সেবক হাউসে’ হামলা চালায় ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতী। সালুগারার বাসিন্দা প্রদীপ রায়ের প্ররোচনায় আচমকা আশ্রমের ভিতরে ঢুকে পড়ে তারা বলে অভিযোগ। এনিয়ে ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে মিশন কর্তৃপক্ষ। তারপরই নাকি থানায় গিয়ে খোদ আক্রান্ত মহারাজের নামেই অভিযোগ জানান প্রদীপ রায়। তারপর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাঁর খোঁজ পায়নি পুলিশ। অন্যদিকে, ঘটনার পর 'সেবক হাউস' সিল করে দিয়েছে পুলিশ। এনিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশন (Jalpaiguri Ram Krishna Mission) আশ্রমের প্রধান প্রেমানন্দজি মহারাজ জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র, ধারাল ড্যাগার ইত্যাদি। ওই দুষ্কৃতীরা আশ্রমের নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াও বেশ কয়েক জন কর্মীকে মারধর করে। তাঁদের আশ্রম ছাড়ার হুমকি দেয়। নচেত বিপদ হতে পারে বলে শাসায়। আশ্রম ভবন ছাড়ার আগে আশ্রম কর্মীদের মোবাইল ফোনগুলি কেড়ে নেয় এবং সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিকে ভেঙে দিয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: CCTV ফুটেজ বাজেয়াপ্তর পর এবার স্বাতীর পোশাক পাঠানো হল ফরেনসিক তদন্তে]
এদিকে, রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সংঘের কার্তিক মহারাজকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে বর্তমানে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সন্ত তরজা তুঙ্গে। এই প্রেক্ষাপটে ‘সেবক হাউসে’ হামলার নেপথ্যে শাসকদল আশ্রিত জমি মাফিয়ারা বলে দাবি বিরোধীদের। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি। গতকাল ঝাড়গ্রামের প্রচারসভা থেকে ঘটনার নিন্দা করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার এক ইমামের নাম করে সমালোচনা করেছেন। এই প্রেক্ষাপটকে মেরুকরণের কৌশল বলে তোপ দেগেছেন অধীর চৌধুরী। এবিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেছেন, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।