সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রিপোর্ট পেশ করল ‘রাইটস’৷ স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে সবচেয়ে দুর্বল বঙ্কিম সেতু৷ দুর্বলতার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাঘাযতীন সেতু৷ তড়িঘড়ি দুটি ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণ না করলে ভেঙে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷
[ব্রিজ ভাঙার সঙ্গে মেট্রো প্রকল্পের কোনও যোগ নেই, প্রাথমিক রিপোর্টে জানাল ‘রাইটস’]
২০১৩-য় উল্টোডাঙা৷ ২০১৬-য় গিরিশ পার্ক৷ আর তার দু’বছরের মাথায় ফের সেতুভঙ্গের ত্রাস মহানগরে৷ এবার দক্ষিণ কলকাতার মাঝেরহাট৷ মঙ্গলবার ভরা বিকেলের ব্যস্ত সময়ে তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ৬৪ বছরের পুরনো মাঝেরহাট ব্রিজের একটি অংশ৷ একের পর এক ব্রিজ বিপর্যয়ে প্রাণের ভয়ে আতঙ্কিত আমজনতা৷ যে ব্রিজ দিয়ে নিত্যদিন যাতায়াত চলছে, সেই ব্রিজগুলি ভেঙে পড়বে না তো, সেই প্রশ্নও উঁকি দিচ্ছে অনেকের মনেই৷ একের পর এক ব্রিজ বিপর্যয়ের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার৷ তড়িঘড়ি রাজ্যের বিভিন্ন ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা দায়িত্ব দেওয়া হয় ‘রাইটস’-কে৷ রেলের অধীনস্থ ‘রাইটস’ সংস্থাটি স্বাধীনভাবে রেল ও যান চলাচল পরিকাঠামো সংক্রান্ত উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করে। এর আগে পোস্তায় উড়ালপুল ভাঙার পরও ঘটনার তদন্তভার পায় ‘রাইটস’৷ সেই সময় শহরের ছয়টি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন ‘রাইটস’-র বিশেষজ্ঞরা৷ মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয়ের মাত্র দু’দিনের মধ্যেই আবারও রিপোর্ট পেশ করল ‘রাইটস’৷
[সেতু বিপর্যয়ের তদন্তভার গেল দুঁদে গোয়েন্দাদের হাতে, সিট গঠন পুলিশের]
হেলথ অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে, হাওড়া ময়দানগামী বঙ্কিম সেতুর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গীন৷ ওই সেতুতে বাসের পাশাপাশি ভারী পণ্যবাহী গাড়িও যাতায়াত করে৷ তার জেরে দেখা দিয়েছে ফাটল৷ এছাড়াও সেতুর পাশেই চলছে মেট্রো প্রকল্পের কাজ৷ বিশেষজ্ঞদের দাবি, তাই ওই সেতুর ক্ষতি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি৷ দ্বিতীয় আশঙ্কার কারণ বাঘাযতীন সেতু৷ স্বাস্থ্যের নিরিখে সেতুটিও অত্যন্ত দুর্বল৷ এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিংড়িঘাটা, ঢাকুরিয়া ব্রিজ, অরবিন্দ সেতু ও বিদ্যাপতি সেতুর অবস্থাও বিপজ্জনক৷ তাই যেকোনও মুহূর্তে আবারও বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের৷ হেলথ অডিট রিপোর্ট জমা পড়বে নবান্নে৷ প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ব্রিজগুলি সংরক্ষণের বন্দোবস্ত করা হবে৷
The post ‘রাইটস’-র রিপোর্টে উদ্বেগ, দুর্বলতার নিরিখে প্রথম বঙ্কিম সেতু appeared first on Sangbad Pratidin.