সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজাব বিতর্কের মাঝেই কর্ণাটকে ধরা পড়ল প্রাণঘাতী অস্ত্রধারী দুই দুষ্কৃতী। সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে কলেজ চত্বরে পাঁচজনকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় দু’জনকে। এদিকে, বিতর্কের মাঝে নতিস্বীকার করেছে সরকারি পিইউ কলেজ। হিজাব পরে কলেজে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হল ছাত্রীদের। তবে তাঁদের আলাদা ঘরে বসে পড়াশোনা করতে হবে।
চলতি বছরের শুরুতেই কর্ণাটকের উদুপি ও চিকমাগালুর কলেজের কিছু পড়ুয়া হিজাব পরা শুরু করেন। সেই সময় থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। এই হিজাব পরার প্রতিবাদে শুরু হয় বিক্ষোভ। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কর্ণাটক সরকারের সমালোচনা করে বলেন, দেশের মেয়েদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করতে চাইছে এই সমালোচনা। অন্য দিকে গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য ছিল, এই নিষেধাজ্ঞায় কোনও ভুল নেই। কলেজ চত্বরের মধ্যে তালিবানি পরিবেশ তৈরি করা চলবে না। হিন্দু শিক্ষার্থীদের দেখা যায় গেরুয়া পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখাতে।
[আরও পড়ুন: ‘আল্লাহ তেরো নাম, ঈশ্বর তেরো নাম’, লতার শেষযাত্রায় শাহরুখের প্রার্থনায় ফুটে উঠল আসল ভারত]
এই বিক্ষোভের মাঝে কয়েকজনকে অস্ত্র হাতে কলেজ চত্বরে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হল। হাজি আবদুল মাজিদ এবং রাজ্জাবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা দু’জনেই কুন্দপুরের গাঙ্গোলির বাসিন্দা। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, দাঙ্গার পরিবেশ তৈরি করা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
এদিকে, সোমবার থেকে হিজাব পরে কর্ণাটকের পিইউ কলেজে ঢোকার অনুমতি পেয়েছেন পড়ুয়ারা। তবে তাঁরা অন্যান্যদের সঙ্গে একই ঘরে বসে ক্লাস করার সুযোগ পাবেন না। হিজাব পরা ছাত্রীদের বসতে হবে অন্য ঘরে।