সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্দিরের দানবাক্সে আপত্তিকর বস্তু ফেলায় অভিযুক্ত ২ যুবক নিজে থেকে পুলিশের হাতে ধরা দিল। ‘দেবতার কোপে’ পড়ার ভয়েই তাদের এই আত্মসমর্পণ বলে জানা গিয়েছে। কারণ, এই দুষ্কর্মের তৃতীয় সঙ্গী হঠাৎই রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যায়। মৃত্যুর আগে সে নাকি বাকি ২ জনকে দোষ স্বীকার করার পরামর্শ দেয়। তারপরেই তাদের মনে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মন্দিরের দানবাক্সে আপত্তিকর বস্তু ফেলা নিয়ে সম্প্রতি ব্যাপক চাপা উত্তেজনা তৈরি হয় কর্ণাটকের (Karnataka) ম্যাঙ্গালোর (Mangaluru) জেলাজুড়ে।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ম্যাঙ্গালোর কোরাজাগ্গাতে শিব মন্দিরের (Shiv Temple) দানবাক্সে সম্প্রতি আপত্তিকর কিছু ফেলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় পুণ্যার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। দাবি উঠতে থাকে, দ্রুত অপরাধীদের খুঁজে বার করে শাস্তি দিতে হবে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা জেলাজুড়ে।
[আরও পড়ুন: স্বামী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সেল্ফ-আইসোলেশনে প্রিয়াঙ্কা, সরলেন ভোট প্রচার থেকেও]
এরপর হঠাৎই জোকাট্টে-র ২ বাসিন্দা আবদুল রহিম এবং তৌফিক পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তারা জানিয়েছে, মন্দিরের দানবাক্সে ওই আপত্তিকর বস্তু তারাই ফেলেছিল। এ কাজে তাদের সঙ্গে নওয়াজ নামে আরও একজন ছিল। সম্প্রতি নওয়াজ রোগে ভুগে মারা যায়। নওয়াজ ‘কালো জাদু’-র অভ্যাসও করত। মৃত্যুর আগে সে নাকি বাকি দু’জনকে বলে যায়, ভগবান শিবের প্রকোপে তার এই পরিস্থিতি। নিজেদের ভুল স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করার জন্য তৌসিফ আর রহিমকে পরামর্শ দেয় নওয়াজ। কয়েকদিন পর একই রকম রোগের উপসর্গ দেখা যায় তৌফিকের শরীরেও। এরপর আর দেরি না করে নওয়াজের পরামর্শ মতো বুধবার রাত্রে প্রথমে মন্দিরে যায় তারা। সেখানে পুরোহিতের কাছে গিয়ে অপরাধ স্বীকার করে নিয়ে ক্ষমা চায়। পরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
[আরও পড়ুন: ফের বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ড, মৃত অন্তত ৩]
ম্যাঙ্গালোরের পুলিশ কমিশনার এন শশী কুমার দুই যুবকের আত্মসমর্পণের খবর জানিয়েছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ (এ) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করছে পুলিশ।