সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সন্ধেয় উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনী (UP election 2022) প্রচার সেরে ফেরার সময় হামলার মুখে পড়েছে আসাদউদ্দিন ওয়েসির (Asaduddin Owaisi) গাড়ি। তিন থেকে চার রাউন্ড গুলি চালানো হয় গাড়ি লক্ষ্য করে। শেষ পর্যন্ত এআইএমআইএম সুপ্রিমোর গায়ে আঁচড়টি না লাগলেও ফেঁসে যায় গাড়ির চাকা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটের মুখে সরগরম উত্তরপ্রদেশ। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। ওয়েইসির বক্তৃতা শুনে মাথাগরম হওয়ার পরেই তাঁকে হত্যার চক্রান্ত করে তারা, এমনটাই জানিয়েছে অন্যতম অভিযুক্ত শচীন।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বেশ কয়েক দিন ধরেই হামলার পরিকল্পনা করছিল শচীন ও শুভম। তারা জানিয়েছে, এই ক’দিনে তারা ওয়েইসির সব জনসভা ও নির্বাচনী প্রচারের সাক্ষী থেকেছে। কিন্তু হামলার সুযোগ পায়নি। যেটা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিলে যাওয়ায় তখনই গুলি চালাতে থাকে তারা। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের সব পরিকল্পনাই ভেস্তে গিয়েছে। পুলিশ তাদের জেরা করে বের করার চেষ্টা করছে আর কেউ এই হামলার সঙ্গে যুক্ত কিনা এবং তারা কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছিল। অভিযুক্তরা জানিয়েছে, তাদের প্রথম থেকেই পরিকল্পনা ছিল ওয়েইসির উপরে গুলি চালিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করার।
[আরও পড়ুন: পাঞ্জাব ভোটের ঠিক আগে মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির ভাইপোকে গ্রেপ্তার করল ED]
ঠিক কী হয়েছিল? আসাদউদ্দিন সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এই বিষয়ে বলতে গিয়ে জানান, ”আমি দিল্লি যাচ্ছিলাম মীরাটের কিঠাউর থেকে। সেই সময়ই ছাজরসি টোল প্লাজার কাছে আমার গাড়িতে দুই দুষ্কৃতী ৩-৪ রাউন্ড গুলি চালায়। আমার গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে গিয়েছে। পরে আমি অন্য গাড়িতে ঘটনাস্থল থেকে ফিরি।” পুলিশ মীরাটের জনসভার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার পরে ওয়েইসিকে জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনা সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছে, ওয়েইসির উপরে হামলায় তাঁর প্রতি সকলের সহমর্মিতা তৈরি করার চেষ্টা করছে বিজেপি! এই ভাবে বিরোধীদের মুসলিম ভোটকে ভাগ করার কৌশল অবলম্বন করছে গেরুয়া শিবির, এমনই অভিযোগ তাদের।