অর্ণব আইচ: যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুতে এবার প্রকাশ্যে বিস্ফোরক চ্যাট। যেখানে দাবি করা হয়েছে, ছাত্রের মৃত্যুর পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে না গিয়ে বৈঠক করা হয়েছিল। সেখানেই ঠিক করা হয়েছিল যে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে। তারপর থেকেই উধাও ২ ছাত্রনেতা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যু নিয়ে তোলপাড় গোটা বাংলা। গ্রেপ্তার এখনও পর্যন্ত ৩ জন। ঘটনার নেপথ্যে যে ব়্যাগিং, মোটের উপর সে বিষয়ে নিশ্চিত তদন্তকারীরা। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল সেই রাতে, তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তা জানতে তদন্ত ও সন্দেহভাজনদের জেরা চলছে। এই পরিস্থিতিতে ভাইরাল দুটি চ্যাটের স্ক্রিনশট। সেখানেই উঠেছে সৈকত সিট ও অরিত্র অন্ত বিহীনের (আলু) নাম। ভাইরাল চ্যাটে সৈকতকেই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড বলে দাবি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ্য করে চলল ছররা গুলি, প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভে অধীর চৌধুরী]
কী রয়েছে স্ক্রিনশটে? চ্যাট অনুযায়ী ওই ছাত্র পড়ে যাওয়ার পরও কিছুক্ষণ বেঁচে ছিল, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাণ হয়তো বাঁচত। কিন্তু সেই সময় কালেক্টিভের অরিত্র ও সৈকত দুজনের নেতত্বে বৈঠক করা হয়। প্রত্যেককে এবিষয়ে কথা বলতে বারণ করা হয়। বলা হয়, হস্টেলের বিষয়, হস্টেল বুঝে নেবে। কারও কোনও কথা বলার দরকার নেই। তারপরই উধাও হয়ে গিয়েছেন সৈকত ও অরিত্র। চ্যাট অনুযায়ী, তাঁদের হদিশ মিলছে না। কোথায় তাঁরা? সত্যিই কি যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর নেপথ্যে এই দুই যুবক? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সব মহলে। তবে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, চ্যাটের বিষয়ে এখনও তাঁদের কিছু জানা নেই।