সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার দুই সাংবাদিক। কুষ্টিয়ায় এক যুবলিগ নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার ওই সংবাদকর্মীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাঁদের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: পদ্মাপারের নারীদের পাশে কলকাতার সৌম্য, স্বনির্ভর হওয়ার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন অনলাইনে]
জানা গিয়েছে, বিতর্কিত আইনে ধৃত সাংবাদিকদের নাম হচ্ছে মুন্সী শাহীন আহমেদ জুয়েল (৪২) ও অঞ্জন কুমার শীল (২৮)। কুষ্টিয়ায় একটি নিউজ পোর্টাল চালান তাঁরা। অভিযোগ, ‘কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজে রডের পরিবর্তে বাঁশ ও কাঠ ব্যবহার’ শিরোনামে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, মেডিক্যাল কলেজে ধসে পড়া একটি ভবন নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশ ও কাঠ ব্যবহার করা হয়েছিল। এদিকে, গ্রেপ্তার হওয়ায় সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যরা জানান, বুধবার ভোরে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম। পরে বিকেলে তাঁদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে তোলা হয়। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত পুলিশের পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার ও কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব্বিরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই ঘটনায় দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তার নামে সংবাদমাধ্যমের উপর রাশ টানার চেষ্টা হচ্ছে বলে উঠছে অভিযোগ। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৬ মে মুশতাক ও কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে বাংলাদেশের এলিট বাহিনী র্যাব বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং গুজব ছড়িয়ে হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ। কয়েকদিন আগেই কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রহস্যজনকভাবে মারা যান ৫৩ বছরের লেখক মুশতাক। হাসিনা সরকারের অত্যন্ত কড়া সমালোচক বলে পরিচিত ছিলেন মুশতাক। তাঁকে পথে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলির। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি।