সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় ২০ ঘণ্টা। এখনও হদিশ মেলেনি ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) জেটি ঘাট থেকে হুগলি নদীতে তলিয়ে যাওয়া ২ নাবালিকার। তাদের খোঁজে স্পিডবোট নিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে নদীতে। ওড়ানো হয়েছে ড্রোন ক্যামেরাও।
ছত্তিশগড়ে বাসিন্দা জাকির হোসেন কিছুদিন আগে তপসিয়ার পঞ্চাননতলায় আত্মীয়ের বাড়িতে আসেন। রবিবার তাঁর দুই কন্যা আতিফা পারভিন (৬) , সীতারা নাজ (৮) ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সেখান থেকে ঘুরতে গিয়েছিলেন জাকির হোসেন। রবিবার সন্ধেয় কুঁকড়াহাটি থেকে ভেসেলে ডায়মন্ড হারবার জেটি ঘাটের উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা। সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ ভেসেল পৌঁছয় ডায়মন্ড হারবার জেটি ঘাটে। ওই ভেসেলটি যেখানে নোঙর করা হয় তার সামনে রাখা ছিল আরেকটি ভেসেল। তাতেই ঘটে দুর্ঘটনা। দুটি ভেসেলের মাঝে ফাঁক ছিল। কিন্তু নামার সময় তা খেয়াল করেনি ওই দুই বোন। ফলে ফাঁক দিয়ে গলে পড়ে যায় নদীতে।
[আরও পড়ুন: গাড়ির পর বাড়িতেও গুপ্তধনের খোঁজ, হাওড়ায় ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার বিপুল টাকা]
রাতেই শুরু হয় হয় তল্লাশি। জেটি ঘাটে যান খোদ এসডিও। রাতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালালেও হদিশ মেলেনি তাদের। সোমবার সকালে ফের শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ক্যুইক রেসপন্স টিম রয়েছে ঘটনাস্থলে। কাকদ্বীপ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ডুবুরির দল। আকাশে ওড়ানো হয়েছে ড্রোন। কিন্তু শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ডায়মন্ড হারবার পুরসভা জেটিঘাট পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। ফলে এই দুর্ঘটনায় পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পুরসভার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। জেটিঘাটে কোনও সিসি ক্যামেরা বা পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা কেন করা হয়নি সে প্রশ্নও উঠেছে। ভেসেল থেকে জেঠিতে ওঠানামার সময় যাত্রী নিরাপত্তায় পুরসভার পক্ষ থেকে কোনও নজরদারির ব্যবস্থা নেই বলেও অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের।
ডায়মন্ড হারবার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রণব দাস জানিয়েছেন বলেন, “এই প্রথম জেটিতে এধরণের দুর্ঘটনা ঘটল। পুর কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওই জেটিতে খুব শীঘ্রই সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। জেটি ও ভেসেলের মধ্যবর্তী স্থানে যাতে কোনও শূন্যস্থান না থাকে সেটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। ভেসেল চলাচলের সময় জেটিতে নজরদারির ব্যবস্থা আগেই ছিল। সেই ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে।”