শান্তনু কর ও রাজা দাস: মোবাইল নিয়ে পরিবারের সঙ্গে বচসা। সেই অভিমানে আত্মঘাতী রাজ্যের দুই জেলার দুই ছাত্র। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাট ব্লকের ফটকটারি এলাকায় মৃত ছাত্রের নাম অমিত রায় (১৬)। অন্যদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার জাহাঙ্গীরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কসবা মণ্ডলপাড়া গ্রামে মৃত্যু হয়েছে বিজয় রায় (১৫) নামের ছাত্রের।
জলপাইগুড়ির ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। বাড়ির পাশের বাঁশবাগানে অমিতের ঝলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রাই প্রথমে ১৬ বছরের কিশোরকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। দেহটি উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অমিতকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রাণবন্ত এক কিশোরের মৃত্যুতে শোকের আবহ গোটা এলাকায়। ভেঙে পড়েছেন অমিতের পরিবারের সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: ‘পুলিশের প্ররোচনা’য় আত্মঘাতী তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী, বিরোধীদের দাবি খারিজ কুণালের]
স্থানীয় নাথুয়া বানিয়াপাড়া চৌরাস্তা হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ত অমিত। পরিবার সূত্রে খবর, বহুবার অনলাইন গেম খেলা নিয়ে ১৬ বছরের কিশোরকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। কারও কোনও কথা নাকি শুনতে চাইত না অমিত। শেষে গত মঙ্গলবার রেগে গিয়ে ছেলের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেন অমিতের বাবা। মনে করা হচ্ছে, এই কারণেই অভিমানী চরম পদক্ষেপ নেয় অমিত। পরিবারের সদস্যদের অনুমান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যখন তাঁরা বাড়ি ছিলেন না। তখনই বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাঁশবাগানে গিয়ে আত্মহত্যা করে কিশোর।
এদিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের মণ্ডলপাড়া গ্রামে বিজয় রায় মায়ের সঙ্গে মামার বাড়িতে গিয়েছিল। সেখানে সারাক্ষণ মোবাইলের ফ্রি গেমে মগ্ন থাকত সে। এর জন্যই মায়ের কাছে বকুনি খায়। বিজয়ের দাদা দেবাশিস রায় বলেন, “মায়ের বকুনি খেয়ে ভাই আমাদের বাড়িতে ফিরে এসেছিল। সেখানে কেউ না থাকার সুযোগে আত্মহত্যা করেছে।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। বিজয়ের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।