সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামিকাল প্রকাশিত হতে চলেছে ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল। তার আগেই উপত্যকায় বড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম হল লস্কর-ই-তৈবার দুই শীর্ষ কমান্ডার। মৃত দুই জঙ্গি পাকিস্তানের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বাড়ির ভেতর ২ জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে পুলওয়ামার (Pulwama) নেহামা এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। সোমবার সকাল থেকে চলতে থাকা এই চিরুনি তল্লাশিতে পিছু হঠবার জায়গা না পেয়ে ওই বাড়ির থেকেই সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় বাহিনী। দীর্ঘ গুলির লড়াইয়ের পর দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা ওই দুই জঙ্গির (Terrorist) নাম রিয়াজ শেঠরি ও রাইস দার বলে জানা গিয়েছে। সেনার সূত্রে খবর, কাশ্মীরের অপারেশনাল কমান্ডার হিসেবে কাজ করত এই দুই জঙ্গি।
[আরও পড়ুন: আবগারি দুর্নীতির অঙ্ক ১১০০ কোটি টাকা! কবিতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক চার্জশিট ইডির]
নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, এই দুইজনের মধ্যে রিয়াজ ছিল এ প্লাস ক্যাটাগরির জঙ্গি। ২০১৫ সাল থেকে কাশ্মীরে সক্রিয় ছিল সে। উপত্যকার একাধিক প্রান্তে অন্তত ২০টির বেশি সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত ছিল সে। এর পাশাপাশি টার্গেট কিলিং, গ্রেনেড হামলা, উপত্যকার যুব সম্প্রদায়কে সন্ত্রাসী কাজে যুক্ত করার মতো একাধিক অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। সরকারের তরফে এ প্লাস ক্যাটাগরির এই জঙ্গির মাথার দাম ধার্য করা হয়েছিল ১০ লক্ষ টাকা। এহেন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে সেনাবাহিনী।
মৃত দুই জঙ্গি রিয়াজ শেঠরি ও রাইস দার।
[আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭ দশক পর গণতন্ত্রের অংশ! এই প্রথম ভোট দিল নিকোবরের শম্পেনরা]
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে নির্বাচন চলাকালীন গত মাসে এই পুলওয়ামাতেই বায়ুসেনার কনভয়ে চলেছিল জঙ্গি হামলা। সেই ঘটনায় শহিদ হন এক জওয়ান। সেই ঘটনার পর থেকেই জঙ্গিদের খোঁজে লাগাতার অভিযান শুরু করেছে সেনা। যদিও হামলাকারীদের কোনও খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে সেই ঘটনার পর গত ৭ মে কুলগামে এক অভিযানে ২ জঙ্গিকে খতম করে সেনা। এর পর পুলওয়ামায় আরও ২ জঙ্গিকে নিকেশ করল নিরাপত্তাবাহিনী।