সুব্রত বিশ্বাস: সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা! ধৃত আইসিডিএস কর্মী। অভিযোগ, জলসিঞ্চন বিভাগে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়েছিল ওই ব্যক্তি। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে শিয়ালদহ রেল পুলিশ। শনিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হবে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে টাকার ভাগাভাগি নিয়ে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের বাইরে দুই প্রতারক বচসা হয়। যা হাতাহাতিতে গড়ায়। তখনই ঝামেলা থামাতে এসে রেল পুলিশের সন্দেহ হয়। দুজনকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কথাবার্তায় অসংলগ্নতা থাকায় তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে জিআরপি।
এর পর ব্যাগ খুলে প্রচুর রাজ্যের ইরিগেশন বিভাগের ভুয়ো নিয়োগপত্র, নানা জাল নথি, সরকারি সিলমোহর ও খামে ৫২ হাজার টাকা মেলে। যা পাওয়ার পর সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। ফের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, এরা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বেকারদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নেয়। এবং ভুয়ো নিয়োগপত্র ধরিয়ে দেয় তাঁদের।
[আরও পড়ুন: ‘যারে তারে দিয়ে শাস্তি রাজা কখনও সোয়াস্তি পাবে কি?’ গানে গানে কাকে বার্তা কুণালের?]
ধৃতদের মোবাইলে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছে পুলিশ। মোবাইলের তথ্য নিয়ে পুলিশ গোসাবার জয়ন্ত নস্করের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারে, তার থেকে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল। যার বদলে ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি বিকাশ ভবনের পিছনে ইন্টারভিউ নিয়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। পুলিশ জয়ন্তর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে।
এই প্রতারণা কাণ্ডে ধৃত অসীম রায় বাঁকুড়া জেলার আইসিডিএস কর্মী। এর আগে বারাসত কিশলয় হোমের সিকিউরিটি ছিল। ধৃত অন্যজন শুভ কাড়ার হাওড়ার পাঁচলার বাসিন্দা। শুভ নিজেই একদিন এই চক্রের হাতে প্রতারিত হয়েছিল। পরে চক্রে যোগ দিয়ে বেকারদের প্রলুব্ধ করার কাজ করত বলে পুলিশকে জানিয়েছে সে। ধৃতরা জেরায় স্বীকার করেছে, জনৈক চ্যাটার্জি প্রতারণা চক্রের কিং পিন। পুলিশ তার সন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে।