সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনকে (Mohammed bin Salman) আইনি রক্ষাকবচ দিতে চলেছে আমেরিকা। পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার বন্ধু দেশ হিসাবে সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় মিলল আরও বেশি সংক্রামক করোনা ভাইরাস! বাড়ছে আতঙ্ক]
ইরান ও তুরস্ককে কোণঠাসা করে রাখতে সৌদি যুবরাজের মন জয় করাটাই এখন বিদায়ী ট্রাম্প প্রশাসনের মূল উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্যেই একাধিক খুনের মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে সলমনকে। মার্কিন বিচারবিভাগ ও বিদেশ দপ্তর সূত্রে খবর, কানাডায় পলাতক ও রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়া সৌদি আরবের এক দুঁদে গোয়েন্দা অফিসার সাদ আল জাবরিকে খুনের চেষ্টা করেছিল সলমনের কিলিং এজেন্টরা। ওই হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। অভিযোগ, সিআইএ’র হয়ে কাজ করছিলেন জাবরি। সৌদি রাজপরিবারের একাধিক গোপন খবর ছিল তাঁর কাছে। যুবরাজ সলমনের নিজস্ব ঘাতক বাহিনীর কথাও জেনে গিয়েছিলেন আল জাবরি। এদিকে, তদন্তে নেমে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ জানতে পারে, স্বয়ং সলমনের নির্দেশেই এই খুনের ছক কষা হয়েছিল। মার্কিন বিচারবিভাগের কাছে অভিযুক্ত ছিলেন সলমন। এবার সৌদি আরবের বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া মজবুত করতে সলমনকে সেই অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে চলেছে মার্কিন বিচারবিভাগ।
এদিকে, আল জাবরিকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ থেকে রেহাই পেলে সৌদি রাজপরিবারের কড়া সমালোচক ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগ্গির হত্যার ঘটনা থেকেও রেহাই পেয়ে যাবেন সলমন। তুরস্ক-সহ একাধিক দেশের অভিযোগ, দুনিয়া কাঁপানো এই হাড়হিম করা খুনের ঘটনার আসল মাস্টারমাইন্ড ছিলেন যুবরাজ সলমন। তাঁর নির্দেশেই ইস্তানবুলের সৌদি দূতাবাসে কেটে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল প্রবীণ সাংবাদিক জামাল খাশোগ্গিকে। বড়সড় চেহারার ষাটোর্ধ্ব খাশোগ্গির দেহাংশ লোপাট করতে নাইট্রিক অ্যাসিড ও সালফিউরিক অ্যাসিডে চোবানো হয়েছিল। সেখানেই গলে মিশে যায় হাড়, মাংস সব কিছু। কিন্তু আল জাজিরা তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে, খাশোগ্গির দেহাংশ দূতাবাসের হেঁশেলের গ্যাস ওভেনে (উনুনে) পুড়িয়ে ছাই করা হয়েছিল। তার সেই ছাই গুলি ম্যানহোলে ফেলে দেওয়া হয়। এভাবেই খাশোগ্গির অস্তিত্ব ও মৃতদেহ লোপাট করেছে সৌদি সরকার। সৌদি রাজপরিবারের দুর্নীতি ও বহু কেলঙ্কারির ঘটনা সংবাদপত্রে ফাঁস করে দিয়েছিলেন তিনি।