সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: সম্প্রতি ভারত, ইউরোপ এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মধ্যে একটি অর্থনৈতিক করিডর তৈরির ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে । আর এই করিডরের একটি বিশাল অংশ রয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। এই অঞ্চলকে ভারতের বলে মন্তব্য করলেন আমিরশাহীর উপ-প্রধানমন্ত্রী। যে মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে কূটনৈতিক চাপানউতোর।
অর্থনৈতিক করিডর নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর উপ-প্রধানমন্ত্রী সইফ বিন জাহেদ আল নাহিয়ান একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। যাতে দেখা যাচ্ছে দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে করিডরটিকে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর বলে ঘোষণা করা হচ্ছে। আর এ জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেখা গিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বন্দনা করতে। ভিডিওটিতে আমিরশাহীর উপ-প্রধানমন্ত্রীকে দেখা যাচ্ছে বাণিজ্য করিডরের একটি মানচিত্র দেখাতে। সেই মানচিত্রে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের অংশ হিসাবে দেখানো হয়েছে। ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে শক্তিশালী করতে চায়, তারও বার্তা দেওয়া হয়েছে ভিডিওটিতে।
[আরও পড়ুন: দেশ ডুবেছে ঋণের অন্ধকারে, তবু পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে পাকিস্তান!]
পাকিস্তানের ‘বন্ধু’ বলে পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর এহেন মন্তব্যে শুরু হয়েছে কূটনৈতিক জল্পনা। জি-২০-র মঞ্চে রেল, বন্দর, বাণিজ্য বৃদ্ধি, শক্তি, ডিজিটাল সংযোগ সম্পর্কিত এই প্রকল্পে হাতে হাত মিলিয়েছে ইউরোপ, আমেরিকা, ইউএই এবং ভারত। সৌদি আরব ও ভারতের পাশাপাশি এই প্রকল্পের প্রধান অংশীদারদের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থাকবে। এই চুক্তিটি ওয়াশিংটনকে সক্রিয়ভাবে সৌদি আরবের সঙ্গে জুড়তে এবং ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উৎসাহিত করবে। স্বাভাবিকভাবেই এই প্রকল্প ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীকে কূটনৈতিক দিক থেকে যে অনেকটা কাছে এনেছে, তা ফের একবার প্রমাণিত হল।