সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: UAPA অর্থাৎ বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। গত তিন বছরে যতজনের বিরুদ্ধে এই ধারায় মামলা হয়েছে তাঁদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরই বয়স ৩০ বছরের নিচে! সবথেকে বেশি মামলা উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। যোগীরাজ্যের পরেই রয়েছে মণিপুর (Manipur) এবং জম্মু ও কাশ্মীর (J&K)। ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের এই পরিসংখ্যান লোকসভায় পেশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে পরিসংখ্যান থেকে? দেখা গিয়েছে, এই সময়কালের মধ্যে মোট ৪ হাজার ৬৯০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২ হাজার ৫০১ জন অর্থাৎ, প্রায় ৫৩.৩২ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের কম। রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ। যোগীরাজ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ হাজার ৩৩৮ জনকে। তাঁদের মধ্যে ৯৩১ জন অর্থাৎ ৬৯.৫৮ শতাংশই ৩০ বছরের কমবয়সি। মণিপুরে মোট গ্রেপ্তারি ৯৪৩ জনের। সেখানে ৪৯৯ জন অর্থাৎ ৫২.৯১ শতাংশের বয়স ৩০-এর নিচে। জম্মু ও কাশ্মীরে ইউএপিএ আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭৫০ জনকে। তাঁদের মধ্যে ৩০-এর নিচে বয়স ৩৬৬ জনের।
[আরও পড়ুন: লখিমপুর কাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ‘খুনের চেষ্টা’র ধারা যোগের অনুমতি আদালতের, অস্বস্তিতে BJP]
লোকসভায় এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এই পরিসংখ্যান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে কেন্দ্র স্পষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমানে এই ইউএপিএ আইনে কোনও সংশোধনী আনার কথা ভাবছে না কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালে ইউএপিএ আইনের সংশোধনী পাশ হয়েছিল সংসদে। এরপর থেকেই এই আইন নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়। শাসকদল বিজেপি এভাবে বিরোধীদের কন্ঠরোধ করতে চাইছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল। ওই সংশোধনী অসাংবিধানিক বলে অভিযোগ জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। অভিযোগ করা হয়েছিল, এই আইনের ফলে একজন নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুন্ন হবে। এর ফলে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি যে কোনও ব্যক্তিকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে। এই সংশোধনীর ফলে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার বিঘ্নিত হবে।
[আরও পড়ুন: বিনা বিরোধিতায় রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল CBI কর্তার মেয়াদ বৃদ্ধির বিল]
সম্প্রতি ত্রিপুরা পুলিশ ১০২ জন সাংবাদিক, আইনজীবী ও সমাজকর্মীদের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা রুজু করেছিল। তখনও নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যাবতীয় বিতর্ককে উড়িয়ে দিয়েছে। নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, এই আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না করা যায় তা সংবিধানে নিশ্চিত করা রয়েছে।