সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাজে গাফিলতি বা ঠিকমতো কাজ না করলে, অনেকসময় কর্মচারীকে কোম্পানির রোষের মুখে পড়তে হয়। কখনও আবার চাকরিও চলে যেতে পারে। কিন্তু কখনও শুনেছেন কেবলমাত্র চুল-দাড়ি কেটে ফেলার কারণেই কারওর চাকরি চলে গিয়েছে? শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এমনই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে হায়দরাবাদের (Hyderabad) এক উবের ড্রাইভারের সঙ্গে। এই কারণেই দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তিনি।
কিন্তু ঠিক কী ঘটেছে? একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, হায়দরাবাদের বাসিন্দা শ্রীকান্ত নামে ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে অ্যাপ ক্যাব সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। ২০১৯ সাল থেকে উবেরের হয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ইতিমধ্যে ১৪২৮টি ট্রিপও সম্পূর্ণ করে ফেলেছিলেন। তাঁকে দেওয়া যাত্রীদের রেটিংও অনেক ভাল। তবে সম্প্রতি তিরুপতি গিয়ে নিজের চুল উৎসর্গ করেছিলেন শ্রীকান্ত। এর ফলে তাঁর ভোলও পালটে যায়। এরপরই শুরু হয় বিপত্তি।
[আরও পড়ুন: করোনা রুখতে গঙ্গাজলই ভরসা, সঙ্গে মন্ত্রপাঠ! আজব কাণ্ড যোগীরাজ্যের থানায়]
পরবর্তীতে নিজের উবের অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার সময় ব্যর্থ হন তিনি। কারণ অ্যাকাউন্টটি ফেশিয়াল রিকগনিশনের মাধ্যমে খোলে। আর চুল-দাড়ি কেটে ফেলায় শ্রীকান্তকে চিনতেই পারেনি অ্যাপটি। এরপর চারবার চেষ্টা করেও সফল হননি ওই উবের চালক। শেষপর্যন্ত তাঁকে ব্যান করে দেওয়া হয়। এরপর উবেরের অফিসে গিয়েও বিষয়টির সুরাহা করতে পারেননি শ্রীকান্ত। তিনি জানান, এই কারণেই গত একমাস ধরেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তিনি। তবে সংস্থার পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। এদিকে, ইতিমধ্যে শ্রীকান্তের এই খবরটি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে উবের ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, লগ ইন করতে না পেরে শ্রীকান্ত উবের পার্টনার সেবা কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। তবে যেহেতু তিনি সংস্থার নিয়মকানুন লঙ্ঘন করেছেন, তাই উবের অ্যাপ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার কারণেই এ কাজ করা হয়েছে। সংস্থা আরও জানিয়েছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন-এ সাধারণত কোনও ব্যক্তির মুখের সামান্য পরিবর্তনে কোনও সমস্যা হয় না। যেমন লম্বা চুল থেকে ছোট চুল। কিন্তু একেবারে মাথা মুড়িয়ে ফেলায় মুখের পুরো চেহারা বদলে যায়। ফলে প্রযুক্তিগত সমস্যা তৈরি হয়। শ্রীকান্তের ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে।