সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন উদ্ধব ঠাকরে। শিব সেনার দলীয় প্রতীকের মালিকানা চেয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল একনাথ শিণ্ডে (Ekanath Shinde) শিবির। তাদের আবেদনের ভিত্তিতেই পদক্ষেপ করে নির্বাচন কমিশন। সেই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে উদ্ধব শিবির। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কাছে আরজি জানিয়ে উদ্ধব শিবিরের তরফে বলা হয়েছে, অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের কার্যকলাপ স্থগিত করে দেওয়া হোক। কারণ শিব সেনার সদস্যপদ সংক্রান্ত বেশ কিছু মামলা বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। এহেন অস্থিরতার মধ্যে দলীয় প্রতীকের মালিকানা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়।
গত সপ্তাহেই শিব সেনার দলীয় প্রতীক চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছিল একনাথ শিণ্ডে শিবির। সেই আবেদনের ভিত্তিতে শিণ্ডে এবং উদ্ধব (Uddhav Thackeray)- দুই শিবিরের কাছেই উপযুক্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। শিণ্ডে শিবিরের তরফে বলা হয়েছে, লোকসভা এবং মহারাষ্ট্র বিধানসভা- দু’জায়গাতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তারা। সেই কারণেই শিব সেনার (Shiv Sena) দলীয় প্রতীক ‘তির-ধনুকে’র উপর অধিকার রয়েছে তাদের। প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে অন্তত ৪০ জন শিব সেনা বিধায়ক উদ্ধব শিবির ছেড়ে বেরিয়ে একনাথ শিণ্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে নতুন সরকার গড়েছে তারাই।
[আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকার জন্য দিতে হবে ২০ টাকা! ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচির বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিতর্ক কাশ্মীরে]
উদ্ধব শিবিরের তরফ থেকে শিণ্ডের দাবিকে খারিজ করার আবেদন জানানো হয়েছে। শীর্ষ আদালতে শিব সেনা সংক্রান্ত মামলাগুলিতে নির্বাচন কমিশনকেও পার্টি করার প্রস্তাব দিয়েছে উদ্ধব শিবির। তাদের তরফে বলা হয়েছে, শীর্ষ আদালতে শিব সেনাকে নিয়ে বেশ কয়েকটি মামলা চলছে। সেগুলির বিচার না হওয়া পর্যন্ত দলীয় প্রতীক অধিকারের কার্যাবলি স্থগিত রাখা হোক।
৪০ জন বিধায়ক এবং ১২ জন সাংসদের সমর্থন রয়েছে তাঁর সঙ্গে, এই দাবি নিয়েই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন একনাথ শিণ্ডে। প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক ডামাডোল শুরু হওয়ার পর থেকেই নিজেদের প্রকৃত শিব সেনা বলে দাবি করেছে শিণ্ডে শিবির। অন্যদিকে উদ্ধব শিবিরও একই দাবিতে অনড়। সেই কারণেই দলীয় প্রতীকের মালিকানা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। প্রসঙ্গত, বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়লেও শিব সেনা বিধায়করা কেউই দল ছাড়েননি। কিন্তু তাঁদের বহিষ্কার করতে চেয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।