সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বছরে দুবার করে পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে পারবে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। নয়া শিক্ষাবর্ষ থেকে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি এবং জুলাই-আগস্ট। এই দুবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির প্রক্রিয়া চলবে। অনলাইন এবং অফলাইন, দুটি ক্ষেত্রেই দুবার করে পড়ুয়াদের ভর্তি করা যাবে।
যদিও ভর্তির এই নিয়ম বাধ্যতামূলক নয়। যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়াতে চায় এবং নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করছে, তাদের জন্য নিয়ম নমনীয় করা হচ্ছে। ইউজিসি জানিয়েছে, এই বিষয়ে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের নিয়মাবলিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে ওপেন অ্যান্ড ডিসট্যান্স লার্নিং (ওডিএল) এবং অনলাইন ব্যবস্থায় দ্বিবার্ষিক ভর্তির অনুমতি দিয়েছিল ইউজিসি। বর্তমানে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বছরে একবারই ভর্তির ব্যবস্থা রয়েছে। জুলাই-আগস্টে ভর্তি হয় পড়ুয়ারা। শিক্ষাবর্ষ চলে মে-জুন পর্যন্ত।
[আরও পড়ুন: ফের অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে ‘সিইও’ চন্দ্রবাবু, শপথ পবন কল্যাণ-নর লোকেশের]
এই বিষয়ে ইউজিসি-র চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার জানিয়েছেন, “ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বছরে দুবার ভর্তি হওয়ার সুযোগ দিলে সুবিধা হবে বহু পড়ুয়ার। যাঁরা বোর্ডের ফলাফল দেরিতে প্রকাশ, অসুস্থতা বা ব্যক্তিগত কারণে জুলাই-আগস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেননি, তাঁরা সুবিধা পাবেন। পুরো বছরটা নষ্ট হবে না।” বছরে দুবার করে ক্যাম্পাসে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে পারবে বিভিন্ন সংস্থা। কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। সেই মতো শ্রেণিকক্ষ, গবেষণাগার, পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষকের ব্যবস্থাও রাখতে হবে।
বহু দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে দুবার করে ভর্তির প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। ভারতে এ রকম চালু হলে আখেরে দেশের পড়ুয়াদেরই সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন কুমার। তিনি জানিয়েছেন, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংযোগ বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরস্পরের মধ্যে পড়ুয়া বিনিময় করতেও পারবে।
ইউজিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওপেন অ্যান্ড ডিসট্যান্স লার্নিং (ওডিএল) এবং অনলাইন ব্যবস্থায় দ্বিবার্ষিক ভর্তির অনুমতি দেওয়ায় পড়ুয়া সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালের জুলাই মাসে মোট ১৯,৭৩,০৫৬ জন শিক্ষার্থী নথিভুক্ত হয়েছিল। সেখানে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে অতিরিক্ত ৪,২৮,৮৫৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। অর্থাৎ, পুরো শিক্ষাবর্ষ অপেক্ষা না করেই পছন্দসই বিষয় নিয়ে ভর্তি হয়েছে প্রায় পাঁচ লক্ষ পড়ুয়া।