সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির (Central University) জন্য অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ এসেছিল আগেই। এদিন ইউজিসির (UGC) তরফ থেকে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দেওয়া হল। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রবেশিকার নম্বরের ভিত্তিতেই যেন বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পড়ুয়াদের ভরতি নেয়, সেই ভিত্তিতেই এই চিঠি পৌঁছল উপাচার্যদের কাছে। ইউজিসি চেয়ারপার্সন জগদীশ কুমার বলেছেন, একটি প্রবেশিকা পরীক্ষার ভিত্তিতে ভরতি হলে পড়ুয়াদের নানা পরীক্ষার চাপ নিতে হয় না।
শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়গুলিই নয়, চিঠি পাঠান হয়েছে বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষদের কাছেও। পড়ুয়ারা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে ভরতির জন্য একটি প্রবেশিকা পরীক্ষা দেবে। তাছাড়া আর কোনও পরীক্ষায় বসতে হবে না স্নাতক স্তরে বা স্নাতকোত্তর স্তরে ভরতির জন্য। যদি কোনও পড়ুয়া কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি হতে ইচ্ছুক না হয়, তাহলেও এই অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই রাজ্য সরকারের অধীন বিশ্ববিদ্যালয় বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি হতে পারবে। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেও কোনও পড়ুয়াকে ভরতি নেওয়া হবে না। ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নিয়ম চালু করতে চায় ইউজিসি।
[আরও পড়ুন: এবার গ্রামে গ্রামে মিলতে পারে আইনি পরিষেবা, অভিনব প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির]
জগদীশ কুমার জানিয়েছেন,”আমরা আজকে সকল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (VC), ডিরেক্টর, এবং অধ্যক্ষদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। আমরা তাঁদের অনুরোধ করেছি CUET অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কমন এনট্রান্স টেস্টে প্রাপ্ত নম্বর বিচার করেই স্নাতক স্তরে ভরতি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য।” CUET-এর মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার উপর আস্থা রেখে ইউজিসি চেয়ারপার্সন আরও বলেছেন, “কমন এন্ট্রানস টেস্টে (CUET) প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই পড়ুয়াদের মেধার বিচার করলে পড়ুয়াদের বারবার আলাদা করে প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে হবে না।” এই মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে ভরতি প্রক্রিয়া চালু করলে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়ার চাপও থাকবে না পড়ুয়াদের উপর।
প্রসঙ্গত, বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি-সহ ১৩ টি ভাষায় এই কমন এন্ট্রান্স টেস্ট নেওয়া হবে। পুরো পরীক্ষাই নেওয়া হবে মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নের মাধ্যমে। পরীক্ষায় ভুল উত্তর দিলে নম্বর কাটা যাবে। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA) এই পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে। যদিও বিশেষজ্ঞ মহলে ইতিমধ্যেই এই পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গ্রামাঞ্চলের পড়ুয়াদের পক্ষে কম্পিউটারে পরীক্ষা দেওয়া কতখানি যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে বিতর্কের মাঝেই আজ সামনে এল ইউজিসির নয়া পদক্ষেপের খবর।