সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার পিএইচডিতে ভর্তির নিয়মে বড় বদল করল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC)। পিএইচডি-তে ভর্তির ক্ষেত্রে এখন থেকে সর্বভারতীয় স্তরে ইউজিসি নেট (UGC NET) পরীক্ষার নম্বরই ভর্তির মাপকাঠি হিসাবে গ্রাহ্য হবে। আলাদা কোনও পরীক্ষা দিতে হবে না পড়ুয়াদের। এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়ামক সংস্থা।
এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিএইচডিতে ভর্তির জন্য আলাদা করে প্রবেশিকা পরীক্ষা নিত। সেটা আর নেওয়া হবে না। দেশজুড়ে পিএইচডিতে ভর্তির জন্য নির্ণায়ক পরীক্ষা হবে ইউজিসি নেট। ইউজিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ (NEP) কার্যকর করার পর ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট পদ্ধতির পুনর্মূল্যায়নের লক্ষ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়া হয়েছে। সেই কমিটিই সুপারিশ করে ইউজিসি নেটের মাধ্যমে পিএইচডিতে ভর্তি নেওয়া হোক। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই ঠিক হয়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পিএইচডিতে ভর্তির জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের নেট পরীক্ষার ‘স্কোর’ দেখা হবে।
[আরও পড়ুন :‘গাছতলায় সন্তান প্রসব অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর]
নেট পরীক্ষার ক্ষেত্রেও কিছু বদল এনেছে ইউজিসি । এতদিন বছরে দুবার করে এই সর্বভারতীয় পরীক্ষা হত। সেখানে পাশ করলেই পরীক্ষার্থীরা জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ অথবা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরশিপের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হতেন। এবার তা থাকছে না। পরীক্ষার ফলকে তিনটি ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ক্যাটেগরিতে পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীরা জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরশিপের জন্য যোগ্য হবেন। জেআরএফ পাওয়া প্রার্থীরা একটি ইন্টারভিউর পরেই পিএইচডিতে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
[আরও পড়ুন : বাড়িতে ৩ সন্তান, স্বামী পরিযায়ী, প্রচারে ব্যস্ত বসিরহাটের রেখার সংসার সামলাচ্ছেন কে?]
দ্বিতীয় ক্যাটেগরিতে থাকা পরীক্ষার্থীরা জেআরএফ ছাড়াই পিএইচডির ভর্তির জন্য এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরশিপের জন্য যোগ্য হবেন। তৃতীয় ক্যাটেগরি থাকলে শুধু পিএইচডিতে ভর্তির জন্যই যোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবেন।
ক্যাটেগরি কীভাবে ঠিক করা হবে তাও বিস্তারিত জানিয়েছে ইউজিসি, পরীক্ষায় যারা সব্বোর্চ গ্রেডে থাকবেন তারা প্রথম ক্যাটেগরিতে থাকবেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্যাটাগরির জন্য নেট পরীক্ষার নম্বর থেকে ৭০ শতাংশ ও ইন্টারভিউর থেকে ৩০ শতাংশ নম্বর নেওয়া হবে। নেট পরীক্ষা ও ইন্টারভিউতে পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতেই পিএইচডিতে ভর্তি হওয়া যাবে। নেটে পাওয়া নম্বর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্যাটাগরির ছাত্র-ছাত্রীর ক্ষেত্রে ১ বছরের জন্য বৈধ থাকবে।