সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারীবিদ্বেষী কার্যকলাকে এবার থেকে সন্ত্রাসবাদ হিসাবে বিবেচনা করা হবে। নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করলে জঙ্গিদমন আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে দোষীদের বিরুদ্ধে। এমনই অভিনব পদক্ষেপ করতে চলেছে ব্রিটেন। সূত্রের খবর, সন্ত্রাসদমন আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে সেদেশের প্রশাসনে। নতুন কী কী উপায়ে নারীবিদ্বেষ ছড়াচ্ছে দেশে, সেই নিয়েও বিশদ ভাবনা চিন্তা চলছে।
সূত্রের খবর, ইংল্যান্ডের (England) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার দেশজুড়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসদমন নিয়ে ইংল্যান্ডে যেসমস্ত আইন রয়েছে সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে। প্রচলিত আইনের ধারাগুলোয় নারীবিদ্বেষকেও যুক্ত করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে। আপাতত জানা গিয়েছে, অতি দক্ষিণপন্থী উগ্রপন্থার সমকক্ষ অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হবে নারীবিদ্বেষকে।
[আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনা ফ্রান্সে, আকাশ থেকে সমুদ্রে আছড়ে পড়ল বিমান! ভাইরাল ভিডিও]
কেন এই পদক্ষেপ করতে চলেছে ব্রিটিশ (Britain) প্রশাসন? সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কুপার জানান, "বহুদিন ধরেই উগ্রপন্থার নতুন ধারাগুলো নিয়ে সরকার খেয়াল করেনি। অনলাইন থেকে শুরু করে পথেঘাটে- সর্বত্র হুহু করে বেড়েছে সন্ত্রাসবাদী মানসিকতা। বিশেষ করে যুবসমাজ বারবার জড়িয়ে পড়েছে এমন কার্যকলাপে।" পূর্বতন কনজারভেটিভ পার্টির সরকারকে দুষে কুপারের তোপ, যে সময় সন্ত্রাসবাদের উত্থানে শক্ত হাতে লাগাম পরানোর দরকার ছিল সেই সময় সরকার উদাসীন হয়ে থেকেছে।
গত মাসে ব্রিটেনের পুলিশের তরফে নারীবিদ্বেষ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, নারী এবং মেয়েদের উপর হিংসার ঘটনা বেড়েই চলেছে। বিষয়টা জাতীয় বিপর্যয়ের সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। তার পরেই সন্ত্রাস আইন ভেবেচিন্তে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ প্রশাসন। নারীবিদ্বেষী আচরণের খবর পেলেই সেই বিষয়টি নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে জঙ্গিদমন শাখা, এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।