সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধের আবহেই স্বাধীন ইউক্রেনে প্রথম সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। আর তাঁকে কাছে পেয়েই যেন 'শান্তির দূতে'র দেখা পেলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মোদিও জোর দিলেন ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষায়। জেলেনস্কির সঙ্গে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে বেদনা প্রকাশ করলেন যুদ্ধে নিষ্পাপ শিশুদের প্রাণ বলির জন্য। দিন কয়েক আগে রাশিয়া সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে ইউক্রেনের চক্ষুশূল হয়েছিলেন। কিন্তু ইউক্রেন সফরে মোদি-ম্যাজিকে এতটাই মুগ্ধ হলেন জেলেনস্কি যে সেই তিক্ততা ভুলে ভরসা প্রকাশ করলেন, যুদ্ধ থামাতে পারেন মোদিই। একে ভারতীয় কূটনীতির বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শুক্রবারই কিয়েভে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। ইতিহাস গড়ে স্বাধীনতার পর প্রথমবার সে দেশের মাটি ছুঁলেন ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী। প্রথম সাক্ষাতেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে (Volodymyr Zelenskyy)আলিঙ্গন করে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছেন তিনি। পরে দুদেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা এবং বিদেশমন্ত্রক পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় বৈঠকে মোদির স্পষ্ট বক্তব্য, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে (Russia-Ukrain War)কোনও পক্ষ নেয়নি ভারত। নিরপেক্ষও নয়, ভারত বরাবর শান্তির পক্ষে ছিল, আছে, থাকবেও। জোর দিয়েছেন ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বে। জেলেনস্কির সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠকে মোদির বার্তা, ভারত চায় ইউক্রেনে দ্রুত শান্তি (Peace) ফিরুক এবং প্রতিবেশী দুই দেশ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধে ইতি টানুক।
[আরও পড়ুন: বুরারি কাণ্ডের ছায়া অশোকনগরে, ঘর থেকে উদ্ধার এক পরিবারের তিনজনের দেহ!]
এদিন দুদেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মোদির সঙ্গে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও। এসবের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনকে আশ্বস্ত করেছেন যে, মানবিকতার দিক থেকে ভারতের তরফে সবরকম সাহায্যই করা হবে। ভারত (India) বরাবর কিয়েভের পাশে থাকবে। পুতিন ঘনিষ্ঠতার তিক্ততা মেটাতে 'আন্তরিক' মোদিতে কার্যত মুগ্ধ জেলেনস্কি। যে আমেরিকাও (USA) মোদির রুশ সফর নিয়ে খানিকটা অসন্তোষ পুষে রেখেছিল, ইউক্রেন সফরে তাও মিটেছে। আমেরিকাও আশাপ্রকাশ করেছে, মোদি পারবেন দুদেশের যুদ্ধ মেটাতে। ওয়াকিবহাল মহলের মত, অত্যন্ত দক্ষ কূটনীতির মাধ্যমেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী সব দিক রক্ষা করেছেন।