সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা ২০ দিন যুদ্ধ চালিয়েও ইউক্রেন (Ukraine) দখল করতে পারেনি রাশিয়া। কিয়েভ-সহ একাধিক শহরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে রুশ বাহিনী। সেই খতিয়ান তুলে ধরেছে ইউক্রেন-ই। আবার তাদের প্রত্যাঘাতে ধরাশায়ী হয়েছে রুশ সেনাও। মঙ্গলবার সেই খতিয়ান তুলে ধরল ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
এদিন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক টুইটারে জানিয়েছে, ইতিমধ্যে সাড়ে ১৩ হাজার রুশ সেনা বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছে। ধ্বংস হয়েছে ১২৭৯টি সাঁজোয়া গাড়ি. ৪০৪টি ট্যাঙ্ক। এমনকী, জেলেনস্কির কড়া নজর এড়াতে পারেনি রাশিয়ার যুদ্ধবিমানও। ইউক্রেনের দাবি, ইতিমধ্যে রাশিয়ার ৮১টি যুদ্ধবিমান, ৯৫টি কপ্টার নষ্ট করা হয়েছে। একইসঙ্গে নষ্ট হয়েছে রুশ মিসাইল-সহ একাধিক সমরাস্ত্রও। তার পরেও রুশ হানার বিরাম নেই।
[আরও পড়ুন: সরকারি শিক্ষক-চিকিৎসকদের বদলির নীতি বদলাল রাজ্য, বড় ঘোষণা স্বাস্থ্যদপ্তরের]
ইউক্রেন সূত্রে খবর, কিয়েভে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে। রাতভর মিসাইল হানা চলছে রাজধানীতে যার জেরে একাধিক বহুতল কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অন্যান্য শহরের রাস্তায় মৃতদেহের সারি। এদিনও দু’ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আমজনতার প্রাণহানি কমাতে কিয়েভে কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত জারি থাকবে কারফিউ। এর ফলে বিশেষ অনুমতি ছাড়া শহরে কেউ ঘুরে বেড়াতে পারবে না। একমাত্র প্রাণ বাঁচাতে ‘বম্ব শেলটারে’ আশ্রয় নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরতে পারবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, ন্যাটো গোষ্ঠীর কাছে আবারও ‘নো ফ্লাই জোনে’র আরজি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার ফের ভারচুয়ালি বিশ্বের উদ্দেশে বার্তা দেন কৌতূকাভিনেতা থেকে নায়ক হয়ে ওঠা জেলেনস্কি। আপাতত রুশ আগ্রাসন ঠেকিয়ে গেলেও পরিস্থিতি যে ক্রমে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে সেই ইঙ্গিত ছিল অসহায় ওই রাষ্ট্রনায়কের গলায়।
[আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার ‘শাস্তি’, ছাত্রীর মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ল স্বামী]
কয়েকদিন আগেও ন্যাটো জোটের কাছে ইউক্রেনের আকাশকে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করার আবেদন জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় ন্যাটো। এহেন সিদ্ধান্তের পক্ষে ন্যাটো জোটের যুক্তি, ইউক্রেনের আকাশে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করলে রাশিয়ার সঙ্গে পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তারপরই সেবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন জেলেনস্কি।