সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলা সংঘাত। মস্কোর আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে রণং দেহি আমেরিকা (America)। প্রশ্ন উঠছে, এবার কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আসন্ন? এহেন পরিস্থিতিতে পোল্যান্ডে ন্যাটো জোটকে আরও মজবুত করতে অতিরিক্ত ৩ হাজার ফৌজ পাঠানোর কথা ঘোষণা করল আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: করোনাবিধি নিয়ে আরও তীব্র বিক্ষোভ, বিপর্যস্ত কানাডা-আমেরিকা সীমান্ত বাণিজ্য]
শুক্রবার ওয়াশিংটন জানিয়েছে রাশিয়ার আগ্রাসনের কথা মাথায় রেখে আগামী সপ্তাহেই পোল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেবে ৩ হাজার মার্কিন সেনা। গত জানুয়ারি মাসেই পোল্যান্ডে ফৌজ পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তারপর থেকেই আমেরিকার অত্যাধুনিক ফৌজিদল ’82nd Airborne Division’-কে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফেব্রুয়ারির ২ তারিখ পোল্যান্ড ও জার্মানিতে ২ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন করার কথা জানায় পেন্টাগন। এবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ হাজার। সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে এক মার্কিন আধিকারিক বলেন, “পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো জোটের অন্তর্গত আমাদের মিত্র দেশগুলিকে আশ্বস্ত করতে এই ফৌজ মোতায়েন করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে ইউরোপে প্রায় ৮০ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। ইউক্রেন নিয়ে চলা সংঘাতের আবহে সেই সংখ্যা আরও বাড়িয়ে তুলছে আমেরিকা। এদিকে, আমেরিকার এহেন পদক্ষেপে অশনি সংকেত দেখছেন আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। কারণ, ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করছে রোমানিয়া ও পোল্যান্ড। অন্যদিকে, বেলারুশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করছে পোল্যান্ড। আর বেলারুশেই রয়ছে রুশ সেনার একটি বড় সেনাদল। ফলে এটা স্পষ্ট যে রাশিয়াকে রুখতে একটি বলয় তৈরি করছে ওয়াশিংটন। এহেন পরিস্থিতিতে, ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সংখ্যা আরও বাড়িয়ে নিজেদের কৌশলগত অবস্থান মজবুত করার চেষ্টা করতে পারে মস্কো।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক মার্কিন সংস্থা কিছু উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ্যে এনেছে। আর তা দেখেই ঘুম উড়েছে বিশ্ববাসীর। যুদ্ধের আতঙ্কে কাঁটা ইউরোপবাসী। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তে বিপুল সমরাস্ত্র এবং হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করছে রাশিয়া। এমনকী, বেলারুশ, ক্রিমিয়া এবং পশ্চিম রাশিয়ায় মোতায়েন হয়েছে বিপুল সংখ্যক সেনা। পাঠানো হয়েছে গোলা-বারুদ, কামান। ট্রেনে করে সীমান্তে পৌঁছে যাচ্ছে যুদ্ধের রসদ। উপগ্রহচিত্র বলছে, বেলারুশের প্রশিক্ষণ শিবিরে ঘাঁটি গেড়েছে রুশ সেনা। জোরকদমে চলছে প্রশিক্ষণ। এমনকী, হাতেকলমে শেখানো হচ্ছে কামান দাগা। যা দেখে মনে হতেই পারে বড়সড় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পুতিনের সেনা। বেলারুশে ব্যালেস্টিক মিসাইল মোতেয়ন করা হয়েছে।