সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে যে কোনও মুহূর্তেই। ইউক্রেনে (Ukraine) হামলা চালাতে পারে রুশ (Russia) সেনা। এই পরিস্থিতিতে এবার পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গোলাগুলিতে মৃত্যু হল কিয়েভের দুই সেনার। আহত চার। এই ধরনের হামলা থেকেই যুদ্ধের আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা ওয়াকিবহাল মহলের।
ইউক্রেন সেনার তরফে জানানো হয়েছে, আগের দিনের তুলনায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার পরিমাণ অনেক বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ৭০ বার হামলা চালিয়েছে তারা। এই অতি সক্রিয়তা থেকেই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
অথচ গত বুধবার মনে হয়েছিল ছবিটা বদলাচ্ছে। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রুশ সেনার একাংশের পিছু হটার ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হতেই ধারণা তৈরি হচ্ছিল বোধহয় কিয়েভে হামলা চালাবে না মস্কো। কিন্তু শনিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) বলেন, ”আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে ইউক্রেনে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।” তাঁর সেই আশঙ্কা সত্যি করে শনিবারই পারমাণবিক অস্ত্র বহনকারী ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে শক্তি প্রদর্শন করেছে রাশিয়া। ওই সামরিক মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন খোদ পুতিন (Vladimir Putin)।
[আরও পড়ুন: দেশকে আবর্জনামুক্ত করতে বড় পদক্ষেপ, ‘গোবর-ধন’-এর উদ্বোধন মোদির]
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রাশিয়াকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, মস্কো যেন সরাসরি জানায় যে ইউক্রেনের উপরে রুশ বাহিনী হামলা চালাবে না। মস্কো সেই কথার জবাব দেয়নি। বরং এবার আরও আগ্রাসী মনোভাব প্রকাশ করেছে পুতিন প্রশাসন। পরিস্থিতি ঘোরাল করে উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়া সীমান্তে।
শেষ পর্যন্ত সত্যিই যুদ্ধ হবে কিনা তা এখনই পুরোপুরি পরিষ্কার না হলেও, ইউক্রেনের (Ukraine) দাবি, ‘হাইব্রিড ওয়ার’ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন পুতিনের দেশ। যার ধাক্কায় সেদেশের বহু এটিএম বিকল হয়ে গিয়েছে। ব্যাহত অনলাইন পরিষেবাও। এবার নতুন করে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কার্যকলাপ।