সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২০ সালে দিল্লি হিংসার ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্র নেতা উমর খালিদের জামিনের আর্জি খারিজ করল দিল্লির করকরডুমা আদালত। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন ও হিংসার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে উমরকে গ্রেপ্তার করে ইউএপিএ ধারায় মামলা করেছিল দিল্লি পুলিশ। তার পর থেকে একাধিকবার জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন জেএনইউ-এর এই প্রাক্তন ছাত্র নেতা। প্রতিবারই তা খারিজ হয়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।
রাজধানীর মাটিতে সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির হিংসায় মৃত্যু হয় ৫৩ জনের। এই ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে অভিযোগ ওঠে উমরের বিরুদ্ধে। উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে দায়ের হয় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। যদিও উমর খালিদের (Umar Khalid) গ্রেপ্তারির বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছিল। দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, মোদি সরকারের এনআরসি (NRC) এবং সিএএ (CAA) বিরোধী আন্দোলনে যোগদান করেছিলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা। সেই কারণেই তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ। এই কারণেই উমর-সহ অন্য ছাত্র নেতাদের নাম দিল্লির দাঙ্গার ঘটনায় যোগ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: সামান্য বচসায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড, ধারাল অস্ত্রে স্ত্রীর ধর-মুন্ডু আলাদা করলেন স্বামী!]
তবে গ্রেপ্তারির পর ৪ বছর কেটে গেলেও এখনও জামিন পাননি উমর। দিল্লি হাই কোর্টের ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবরের রায়ে তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ হলে শীর্ষ আদালতে গিয়েছিলেন উমর। ২০২৩ সালের অগস্টে উমরের জামিনের আবেদনের শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্র। এর পরে শীর্ষ আদালত থেকে জামিনের আর্জি প্রত্যাহার করে নিয়ে নতুন করে করকরডুমা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উমর। তবে সেখানেও মিলল না জামিন।
[আরও পড়ুন: দাগি আসামির বাড়িতে ডিএসপির ‘মোচ্ছব’! পুলিশ হানা দিতেই লুকোলেন শৌচাগারে]
যদিও ২০২০ সালের দিল্লিতে দাঙ্গার সময় পাথর ছোড়ার মামলায় প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদকে মুক্তি দিয়েছিল দিল্লির করকরদুমা আদালত। তাঁর সঙ্গে ছাড়া পেয়েছিলেন আরও এক প্রাক্তন ছাত্রনেতা খালিদ সইফি (Khalid Saifi)। এরপরেও অবশ্য দিল্লি দাঙ্গার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে অভিযুক্ত খালিদ জেলেই থাকেছেন। ছাড়া পাননি সইফিও। যেহেতু দু’জনের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (UAPA)-এ রুজু করা মামলার এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।