shono
Advertisement

বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব

আন্তর্জাতিক মঞ্চে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ তুলে ধরেন হাসিনা।
Posted: 11:44 AM Sep 25, 2021Updated: 11:44 AM Sep 25, 2021

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী তথা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে ‘নিষ্ক্রিয়’ আন্তর্জাতিক মঞ্চ, নিউ ইয়র্কে ক্ষোভ উগরে দিলেন হাসিনা]

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে (বাংলাদেশের সময় শুক্রবার সকাল) নিউইয়র্ক প্যালেসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সময় এই প্রশংসা করেন। পরে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক কার্যক্রমের ব্যাপারে সাংবাদিকদের জানান। বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রসংঘ বাংলাদেশের অগ্রাধিকারগুলিকে গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মতো বাংলাদেশের অগ্রাধিকারগুলি রাষ্ট্রসংঘেরও অগ্রাধিকার।”

শেখ হাসিনা রাষ্ট্রসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের উচ্চপদে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আরও বেশি সদস্য নিযুক্ত করতে রাষ্ট্রসংঘ মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে রাষ্ট্রসংঘের সাড়া দেওয়ার ব্যাপারে বিদেশমন্ত্রী মোমেন বলেন, “গুতেরেস এই আহ্বানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন এবং তিনি এটিকে ন্যায্য মনে করেন ও বাংলাদেশের জন্য আরও কিছু করতে চান।” এই বিষয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রসংঘ মহাসচিব এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সুনাম অর্জনের কথা ও শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের সাফল্যের গল্প রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন। ড. মোমেন বলেন, “একটি গতিশীল অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশকে রাষ্ট্রসংঘ রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। গুতেরেস বাংলাদেশের ও দেশটির সার্বিক অর্জনের ব্যাপারে এর নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।”

রাষ্ট্রসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী হাসিনা রাষ্ট্রসংঘ সদরদপ্তরে নেদারল্যান্ডের রানি ম্যাক্সিমা, ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট নগুয়েন জুয়ান ফুক ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মাদ সহিলের সঙ্গেও বৈঠক করেন। নেদারল্যান্ডের রানি ম্যাক্সিমার সঙ্গে আলোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষয়ক্ষতি সামলাতে তার সরকার ইন্স্যুরেন্স ব্যবস্থা চালু করার চিন্তা ভাবনা করছে।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলেহর সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে ড. মোমেন বলেন, মালে ও চট্টগ্রামের মধ্যে বাণিজ্যিক জাহাজ চালু করার ব্যাপারে উভয় দেশ কাজ করছে। ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট নগুয়েন জুয়ান ফুকের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ জন্মভূমিতে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে মায়ানমার কর্তৃপক্ষকে চাপ দিতে ফুককে অনুরোধ করেন।

[আরও পড়ুন: ভারতে রপ্তানির জের, বাংলাদেশে ইলিশের বাজারে আগুন!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement