সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৬ আগস্ট, ১৯৪৫। ওইদিন মানব সভ্যতার ইতিহাসে খোদাই করা হয়েছিল এক রক্তাক্ত অধ্যায়। জান্তব গর্জন করে জাপানের (Japan) আকাশে চক্কর কাটছিল এনোলা গে নামের একটি মার্কিন বি-২৯ বোমারু বিমান। সেটির পেট থেকেই হিরোশিমার ওপর ফেলে দেওয়া হয়েছিল আণবিক বোমা। যার পোশাকি নাম ছিল ‘লিটল বয়’। বাকিটা ইতিহাস। প্রায় ৭৫ বছর আগের সেই ঘটনার বিভীষিকা আজও ভুলেনি বিশ্ব। বৃহস্পতিবার হিরোশিমা দিবসে পরমাণু অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব গড়ার আওয়াজ তুললেন রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
[আরও পড়ুন: রাম মন্দির নিয়েও উসকানি পাকিস্তানের, কড়া হুঁশিয়ারি নয়াদিল্লির]
সাত দশক আগে আজকের দিনেই আণবিক বোমার প্রচণ্ড বিস্ফোরণে প্রাণ হরিয়েছিলেন লক্ষাধিক মানুষ। পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন অনেকেই। বিকিরণের প্রভাবে বিগত কয়েক দশকে হিরোশিমায় জন্ম নেয় অদ্ভুতদর্শন বিকৃত অঙ্গ শিশু। সব মিলিয়ে আণবিক বিস্ফোরণের প্রভাব আজও রয়ে গিয়েছে শহরটিতে। সেই কথা ফের এবার মনে করিয়ে দিয়ে এদিন গুতেরেস বলেন, “পরমাণু অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার ডাক আরও জোরাল করতে হবে। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে আণবিক হামলার পর প্রায় ৭৫ বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও আণবিক অস্ত্র মুক্ত হতে পারিনি আমরা। দুনিয়ায় ফের আণবিক শঙ্কা বাড়ছে।” তিনি আরও বলেন, “অতীতে যাঁরা আণবিক আণবিক হামলার শিকার হয়েছেন তাঁদের প্রতি আমারা দায়বদ্ধ। পারমাণবিক হাতিয়ার থেকে যে ভয় রয়েছে সেগুলির মুখোমুখি হয়ে একটি আণবিক অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে আমাদের।”
উল্লেখ্য, হিরোশিমায় হামলার পর ৯ আগস্ট জাপানের নাগাসাকি শহরেও আরও একটি পরমাণু বোমা ফেলেছিল আমেরিকা। ওই বোমাটির পোশাকি নাম ছিল ‘ফ্যাট ম্যান’। এরপরই আণবিক হামলার ভয়াবহতা দেখে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে আত্মসমর্পণ করে জাপান। প্রতিবছরই এই দিনে হিরোশিমা (Hiroshima) শহরে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণে নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে শান্তির প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। ঠিক সকাল সওয়া আটটায় বেজে ওঠে শান্তির ঘণ্টা। কিন্তু এবছর কোভিড পরিস্থিতির কারণে অনেক কম সংখ্যক মানুষকেই স্মরণ অনুষ্ঠানে আসতে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তান চলে যান’, ওয়েইসিকে তোপ শিয়া ওয়াকফ বোর্ড প্রধান ওয়াসিম রিজভির]
The post হিরোশিমা দিবসে আণবিক অস্ত্র মুক্ত পৃথিবী গড়ার ডাক রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের appeared first on Sangbad Pratidin.