সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে গুজরাট দাঙ্গা মামলা নিয়ে পুনরায় তদন্ত করার আরজি পেশ হয়েছিল। সেই আরজি খারিজ হয়ে যাওয়ার পরদিনই গ্রেপ্তার করা হয় সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদকে। সেই গ্রেপ্তারির নিন্দা জানিয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘের তরফ থেকে। সেই বার্তার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, এমন মন্তব্য করে একটি স্বাধীন দেশের বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করছে রাষ্ট্রসংঘ।
মঙ্গলবার একটি টুইট করা হয় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের তরফ থেকে। সেখানে বলা হয়, “সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ ও দুই প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কারণে তাঁদের হেনস্তা করা উচিত নয়।” এই ঘটনার পালটা দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই মন্তব্য মোটেই ভালভাবে নিচ্ছে না ভারত।
[আরও পড়ুন: ৬০ ঘণ্টায় দুই দেশে সফর, ১৫টি বৈঠক! নজির গড়ে ভারতে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি]
অরিন্দম জানিয়েছেন, “রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের বক্তব্য শুনেছি আমরা। এই ধরনের মন্তব্য করে ভারতের স্বাধীন বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করছে রাষ্ট্রসংঘ। অত্যন্ত অযৌক্তিক কথা বলা হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের তরফে।” ভারতীয় বিচারব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, “ভারতে যথেষ্ট উপযুক্ত বিচারব্যবস্থা রয়েছে। আইন ভাঙলে তার বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আইনি কার্যকলাপকে ‘হেনস্তা’ হিসেবে দেগে দেওয়া একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।”
তিস্তার এনজিও সংস্থার দিকে আঙুল তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাসদমন স্কোয়াড। মঙ্গলবার তিস্তার গ্রেপ্তারি নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসানসোলের কর্মিসভায় তিনি সরাসরি প্রশ্ন করেন, “তিস্তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে? কী করেছেন তিনি?” বিতর্ক তৈরি হয়েছে তিস্তার বাংলো বাড়ি নিয়েও।