সুকুমার সরকার, ঢাকা: নতুন সরকার তৈরি হয়েছে সপ্তাহ দুয়েকও হয়নি। তার মধ্যেই বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করল রাষ্ট্রসংঘ। বাংলাদেশের সরকারি দপ্তরের ফেসবুকে বার্তা করে একথা জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। বার্তায় বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার পূরণে শান্তিপূর্ণ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে বাংলাদেশের নবনির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করবে রাষ্ট্রসংঘ। সর্বজনীন মানবাধিকার চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ তার প্রতিশ্রুতি রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে। এসবের মাধ্যমেই সব দেশের মতো বাংলাদেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব, এমনই উল্লেখ রাষ্ট্রসংঘের ফেসবুক বার্তায়। এছাড়া রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের নতুন সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের সক্রিয় ভূমিকা পালনে স্বাগত জানিয়েছে।
[জামাতহীন বিরোধী জোট, চাপ বাড়িয়ে বিএনপিকে বার্তা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শরিকের]
আন্তর্জাতিক মহল এভাবে সাহায্যের হাত বাড়ালেও, ঘরেই কিছুটা চাপে হাসিনা সরকার। গত ৩০ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অস্বচ্ছতার অভিযোগে ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। স্বর তুলছেন বিরোধীরা। মূল বিরোধী দল বিএনপি এবং তাদের নির্বাচনী জোট শরিক ড: কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট রীতিমত জেলায় জেলায় জনমত গড়ে তুলতে সক্রিয়। সোমবার সিলেট গিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সফরকারী দলে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির, কৃষক জনতা লিগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব এবং নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এই সফরের মাধ্যমে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা তাঁদের তিন দফা কর্মসূচি শুরু করলেন। ধারাবাহিকভাবে দেশের অন্যান্য জেলাতেও ঘুরে আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলবেন বলে হুঁশিয়ারি নেতাদের।
এসবের মাঝে রাষ্ট্রসংঘের বার্তা, কাজ শুরুর আগেই হাসিনা সরকারের পালে হাওয়া লাগাল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকায় রাষ্ট্রসংঘ সন্তোষ প্রকাশ করায় বিরোধীদের অনেক অভিযোগকেই খারিজ করে দিচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা।