সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার মারে বিপর্যস্ত অর্থনীতি। তারউপর রয়েছে আন্তর্জাতিক মঞ্চের আর্থিক নিষেধাজ্ঞার বোঝা। দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকটও। সবমিলয়ে উত্তর কোরিয়ার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এহেন সময়ে রাষ্ট্রসংঘের এক রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে অনাহারের মুখে পড়তে চলেছে কিমের দেশের কয়েক লক্ষ মানুষ।
[আরও পড়ুন: বিধ্বস্ত আফগান অর্থনীতি, বিপর্যয় এড়াতে ১২০ কোটি ইউরো দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন]
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ায় খাদ্য সংকট নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ টমাস ওজেয়া কুইনটানা। সেখানে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, করোনা মহামারী রুখতে বিধিনিষেধের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক নিশেষধাজ্ঞার জেরেও পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠেছে। তাই অনাহারের মুখে পোর্টে চলেছে দেশটির দুস্থ মানুষরা। এহেন সময়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চের পিয়ংইয়ংয়ের উপর চাপানো নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া উচিত।
উত্তর কোরিয়ায় খাদ্য সংকট নিয়ে কুইনটানা বলেন, “উত্তর কোরিয়ার আম জনতা সমমানের সহিত বাঁচার জন্য রোজ লড়াই করছেন। বয়স্ক ও শিশুদের সবচেয়ে বেশি অনাহারের মুখে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মানবিক সহায়তার জন্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা।”
গত জুন মাসে খাদ্য সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশবাসীকে বার্তা দেন প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। তিনি দাবি করেন, দেশের অর্থনীতির খানিকটা উন্নতি হলেও খাদ্য পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন কিম। বলে রাখা ভাল, উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি বহুদিন ধরেই সংকটে। গত বছর অতিমারীর ধাক্কায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। দেশের সীমান্ত বন্ধের নির্দেশ দেন কিম। ফলে চিনের সঙ্গে বাণিজ্য কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। তারপরই ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার প্রকোপে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। গত মাসেই দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের এক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক দাবি করেন, এবছর ১০ লক্ষ টন খাবারের অভাব দেখা দিতে পারে দেশে।