সুকুমার সরকার, ঢাকা: আন্তর্জাতিক চাপ উড়িয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে পাঠানোর কাজ দ্রুত গতিতে চালাচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার। এপর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার রোহিঙ্গাকে সমুদ্রের মাঝে বিচ্ছিন্ন দ্বীপটিতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে কেমন আছেন শরণার্থীরা, তা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ সফরে আসছে রাষ্ট্রসংঘের (UN) একটি প্রতিনিধি দল।
[আরও পড়ুন: বিলিতি স্ট্রেনের দাপট, করোনা পরিস্থিতির ফের অবনতি বাংলাদেশে, ৩০ মার্চ খুলছে না স্কুল]
জানা গিয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসন নিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বিদেশমন্ত্রকের অধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি। সেখানই প্রতিনিধি দলের আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। সূত্রের খবর, ভাসানচরে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবে রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি দলটি। ওই দ্বীপ বসবাসের যোগ্য কি না, জীবিকা নির্বাহে সেখানে শরণার্থীদের সমস্ত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে কি না, সেসব খুঁটিয়ে দেখবেন তাঁরা। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার আধিকারিক মোস্তাফা মহম্মদ সাজ্জাদ জানিয়েছেন, ভাসানচর পরিদর্শনের কাজটি দ্রুত সেরে ফেলতে চাইছে রাষ্ট্রসংঘ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ বিদেশমন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল মহম্মদ দিলাওয়ার হুসেন।
উল্লেখ্য, সমুদ্রের মাঝে বিচ্ছিন্ন এবং ঝঞ্ঝাপ্রবণ দ্বীপ ভাসানচরে শরণার্থীদের পাঠানো নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মঞ্চ। তবে হাসিনা প্রশাসনের কথায়, নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করে এক লক্ষ রোহিঙ্গার জন্য ভাসানচরে উন্নতমানের আবাসস্থল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে প্রত্যেক পরিবারের জন্য আলাদা ঘর, আধুনিক স্যানিটারি পদ্ধতি, বিশুদ্ধ খাবার জল, স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য হাসপাতাল ও ক্লিনিং এবং বাচ্চাদের শিক্ষাদানের জন্য সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, মিডিয়ার কল্যাণে এর সবকিছু সবাই দেখেছেন। ভাসানচরে ক্যাম্পের ভিতরে কক্সবাজারের মতো নিরাপত্তা সমস্যা যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য শতভাগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।তাই শরণার্থীদের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।