সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েল ও ইজরায়েলি সেনাকে কালো তালিকাভুক্ত করতে চলেছে রাষ্ট্রসংঘ। যুদ্ধে শিশুদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগের কারণেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতারেস ১৮ জুনের আগে 'শিশু ও সেনা সংঘর্ষ' সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করবেন না। কিন্তু তার আগেই এই বিষয়টি জানতে পেরে রাষ্ট্রসংঘে (UN) ইজরায়েলের (Israel) প্রতিনিধি গিলাদ এর্দেন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এর্দেন জানাচ্ছেন, ''এই লজ্জাজনক সিদ্ধান্তে আমি সম্পূর্ণ হতবাক ও বিরক্ত।'' এমনকী, তিনি ব্যক্তিগত আক্রমণও করেছেন গুতারেসকে। বলছেন, ''একমাত্র একটাই লোক আজ কালো তালিকায়। সেটা হলেন গুতারেস নিজে।'' অন্যদিকে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও (Benjamin Netanyahu)। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছিলেন, 'আইডিএফ বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিক সেনাবাহিনী। এবং রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের কোনও 'চ্যাপ্টা পৃথিবী' ধাঁচের সিদ্ধান্তে সেটা পরিবর্তিত হবে না।' পাশাপাশি তাঁর তোপ, হামাসের 'অবাস্তব' দাবির উপর ভিত্তি করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: যোগীর উপর বুলডোজার চালাতে তৈরি মোদি-শাহ! কোপে পড়তে পারেন শুভেন্দুও]
এদিকে এই সিদ্ধান্তকে 'গুরুত্বপূর্ণ' বলে দাবি করেছেন রাষ্ট্রসংঘের প্যালেস্তিনীয় প্রতিনিধি রিয়াদ মনসুর। তবে এক্স হ্যান্ডলে এই বিষয়ে লেখার সময় আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন তিনি। তাঁর মতে, ইজরায়েলকে 'লজ্জার তালিকা'য় ফেললেও নিহত শিশুদের প্রাণ তো ফেরানো যাবে না। কিংবা যারা শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরও আগের জীবনে ফেরানো যাবে না। তবুও এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এর ফলে ইজরায়েলের দ্বিচারিতার সমাপ্তি হবে, যা তারা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর উপরে চাপ বেড়েছে। তাঁর গ্রেপ্তারির সম্ভাবনাও তৈরি হতে দেখা গিয়েছে। এমনকী, নিজের দেশেই প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘের পদক্ষেপে যে তাঁর উপরে চাপ আরও বাড়বে তা পরিষ্কার।